May 6, 2024, 7:01 pm
সর্বশেষ:
সম্ভাবনার ‘মেঘনা’ ও জনপ্রতিনিধি নির্বিঘ্নে সবাই ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিবেন : অধ্যক্ষ আব্দুল মজিদএমপি মেঘনায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে জেলা প্রশাসকের মতবিনিময় মাদ্রাসার বরাদ্দকৃত অর্থ আত্মসাত করেছে অধ্যক্ষ মেঘনায় বিএনপি থেকে বহিস্কৃত প্রার্থীর পক্ষে কাজ করায় একাধিক নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দুদকের পরিচালক থেকে মহাপরিচালক পদে পদন্নোতি পেলেন শিরিন পারভীন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন মন্ত্রী–এমপিদের চাপে মাঠ প্রশাসন,  স্পিকারকে চিঠি দেবে ইসি মেঘনায় পাকের ঘরে রাতে আগুন দিয়েছে দূর্বৃত্তরা মেঘনায় ফেসবুক ‘ফেক’ আইডির বিরুদ্ধে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর অভিযোগ শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজে অনিয়মের সত্যতা পেয়েছে দুদক

রাণীশংকৈলে ৭মার্চ আনন্দ উদযাপন অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে অশ্লীল নৃত্য হিসেবে ফেসবুকে অপপ্রচার

১০ মার্চ ২০২১,বিন্দুবাংলা টিভি. কম,

 মোঃ আকতারুল ইসলাম আক্তার ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধিঃ ঠাকুরগাওয়ের রাণীশংকৈলে ৭ মার্চ ” আনন্দ উদযাপন” অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে ঈর্ষান্বিত হয়ে কিছু লোক অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার একটি যৌথ নৃত্যকে ভিডিও ধারণ করে গণ যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রানীশংকৈলের রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিরা।
থানা অফিসার ইনচার্জ এস এম জাহিদ ইকবাল ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “এ অনুষ্ঠানে স্থানীয় কয়েকজনকে ঠিকমতো চেয়ার সরবরাহ করতে না পারায় অভিমানে তারা অনুষ্ঠান থেকে বাইরে চলে আসেন। এটি একটি সামান্য ভুল বোঝাবুঝি ছিল। এরকম একটি সামান্য বিষয়কে কেন্দ্র করে থানা পুলিশের ভাবমূর্তি নষ্ট করা ঠিক হয়নি”। তবে অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে একটি নৃত্যের গানের সাথে তাল মিলিয়ে কয়েকজন মঞ্চে উঠেছিল। এ বিষয়টিকে অতি উৎসাহিত হয়ে কিছু লোকজন ভিডিও ধারণ করে গণযোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করে ভাইরাল করার চেষ্টা করে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম সারওয়ার বিপ্লব বলেন, অতি উৎসাহিত হয়ে কিছু লোক থানার বিপক্ষে সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য এ ঘটনাটি ঘটিয়েছে। আমার জানা মতে এ সমস্ত লোক প্রশাসনের বিপক্ষে সব সময় লেগে থাকে। সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মাহফুজা বেগম পুতুল বলেন, এ অনুষ্ঠানে আমরা মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান ও মহিলা কাউন্সিলরা উপস্থিত ছিলাম। উঠতি বয়সের ছেলেরা সামান্য নাচানাচি করছিল তবে এখানে কোন অশ্লীলতা ছিলোনা।
বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান বলেন, অনুষ্ঠানে আমিও ছিলাম। এ অনুষ্ঠানে কোন বেহায়াপনা বা অশ্লীল নৃত্য হয়নি। সামাজিক ভাবেই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সুন্দরভাবে অনুষ্ঠান শেষ হয়েছে।
এদিকে উপজেলা জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক ও ঠিকাদার কল্যাণ সমিতির সভাপতি আবু তাহের বলেন, থানার সাথে বিরোধিতা করে এ ভিডিওটির প্রচার করা হয়েছে। আমি ৭ই মার্চের আনন্দ উদযাপন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলাম। শেষের গান ও নৃত্য অশ্লীলতার মধ্যে পড়েনা। বর্তমান ওসি যেভাবে সকল শ্রেণীর মানুষকে নিয়ে আইন-শৃংঙ্খলা ভালো কাজ করে যাচ্ছেন, হয়তো কিছু সংখ্যক মানুষ উনার কাছে অনিয়মের সুবিধা না পাওয়ার কারণে তার বিরোধিতা করছেন।
উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক থানা পুলিশিং কমিটির সভাপতি আহমেদ হোসেন বিপ্লব বলেন, রাণীশংকৈল থানার এ অনুষ্ঠানে ছিলাম। এ অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় সংগীত বিদ্যালয়ের পরিবেশনায় গান ও নিত্য আমি দেখেছি। এখানে উৎসুক জনতা লাফালাফি করলেও কোন অশ্লীলতা ছিল না। বর্তমান প্রশাসন সকল শ্রেণীর মানুষের সাথে বন্ধুসুলভ আচরণ করেন এটা আমি দেখেছি।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তাজউদ্দিন আহমেদ বলেন, আনন্দ অনুষ্ঠানে সামান্য লাফালাফি হতেই পারে তবে এতে কোন অশ্লীলতা জড়িত ছিল বলে আমার মনে হয় না। অতি উৎসাহিত হয়ে কিছু মানুষ সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য ফেসবুকে বিশৃংখলা ছড়াচ্ছে বলে আমি মনে করছি।
এ বিষয়ে নবনির্বাচিত পৌর মেয়র আলহাজ্ব মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক বলেন, “এ অনুষ্ঠানে আমিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা কাউন্সিলররাও ছিলেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এটি একটু অতিরঞ্জিত করে প্রকাশ করা হয়েছে। আমি এর তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করছি।
রাণীশংকৈল উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ সইদুল হক বলেন, সারা দেশের ন্যায় ৭ মার্চে রাণীশংকৈল থানায় আনন্দ উদযাপন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানের শেষের দিকে কিছু ছেলেপেলে নাচানাচি করছিল, তবে এখানে কোন অশ্লীলতা হয়নি।


আপনার মতামত লিখুন :

মন্তব্য করুন


ফেসবুকে আমরা