May 6, 2024, 12:53 am
সর্বশেষ:
নির্বিঘ্নে সবাই ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিবেন : অধ্যক্ষ আব্দুল মজিদএমপি মেঘনায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে জেলা প্রশাসকের মতবিনিময় মাদ্রাসার বরাদ্দকৃত অর্থ আত্মসাত করেছে অধ্যক্ষ মেঘনায় বিএনপি থেকে বহিস্কৃত প্রার্থীর পক্ষে কাজ করায় একাধিক নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দুদকের পরিচালক থেকে মহাপরিচালক পদে পদন্নোতি পেলেন শিরিন পারভীন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন মন্ত্রী–এমপিদের চাপে মাঠ প্রশাসন,  স্পিকারকে চিঠি দেবে ইসি মেঘনায় পাকের ঘরে রাতে আগুন দিয়েছে দূর্বৃত্তরা মেঘনায় ফেসবুক ‘ফেক’ আইডির বিরুদ্ধে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর অভিযোগ শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজে অনিয়মের সত্যতা পেয়েছে দুদক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে হেট্ট্রিক করতে ভোটারের দ্বারেদ্বারে শিরিন

যমুনা সার কারখানায় রসায়নবিদের রহস্যজনক মৃত্যু

০৩ জানুয়ারী ২০২১, বিন্দুবাংলা টিভি. কম, ডেস্ক রিপোর্টঃ

জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার তারাকান্দিতে অবস্থিত দেশের সর্ববৃহৎ যমুনা সার কারখানার (জেএলসিএল) ভিতরে এক কর্মকর্তার রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুবরণকারী কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম (৫৪) কারখানার উপপ্রধান রসায়নবিদ (কারিগরি)।

শনিবার (২ জানুয়ারি) দিবাগত মধ্যরাতে কারখানায় কর্মরত অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। ঘটনাটিকে হার্ট এ্যাটাক বলছে কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্নের জন্ম দিলেও ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ দাফনের অনুমতি দিয়েছে প্রশাসন।

জেএলসিএল সূত্র জানায়, ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার খামারগাঁও গ্রামের বাসিন্দা শহিদুল ইসলাম যমুনা সার কারখানায় প্রতিষ্ঠার শুরুতেই নিয়োগপ্রাপ্ত হন। সর্বশেষ তিনি কারিগরি বিভাগের উপপ্রধান রসায়নবিদ হিসেবে কর্মরত ছিলেন। শনিবার রাত ১১টায় কারখানায় ঢুকে তিনি নিজ দপ্তরে কাজ শুরু করেন। রোববার ভোরে তার পরবর্তী সহকর্মীরা তাকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান। খবর পেয়ে সকালে তারাকান্দি তদন্তকেন্দ্রের পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।

কারখানার নিরাপত্তা বিভাগের প্রধান (উপব্যবস্থাপক) নুরুল আমিন শিকদার জানান, শহিদুল ইসলাম হার্টের রোগী ছিলেন। শনিবার রাত ১টা-দেড়টার দিকে তার হার্ট এ্যাটাকে মৃত্যু হয়েছে। যোহরের নামাজের পর কলোনীতে জানাজা শেষে তার লাশ গ্রামের বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। পরিবার থেকে কোনো অভিযোগ নেই বলেও তিনি জানান।

এদিকে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করলেও তারা বলছে, কারখানা কর্তৃপক্ষই নিজ দায়িত্বে লাশ বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছে। কেপিআই-১ মানের এ কারখানার উর্ধ্বতন পর্যায়ের কর্মকর্তার কর্মরত অবস্থায় মৃত্যুতে ময়নাতদন্তের প্রয়োজন থাকলেও তা করা হয়নি। কারখানা ও কলোনীতে প্রবেশাধিকার সীমিত থাকায় তার পরিবারের সাথে গণমাধ্যমকর্মী বা কাউকে যোগাযোগের সুযোগ দেওয়া হয়নি। যা নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।

এ ব্যাপারে তারাকান্দি পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মুহাম্মদ তরিকুল ইসলাম বলেন, সকাল ৮টার দিকে কারখানার ভিতরে একজন কর্মকর্তার মৃত্যু সংবাদ দেয় কর্তৃপক্ষ। পরে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করার সময়ই পরিবারের লোকজনকে লাশটি নিয়ে যায়। সুরতহাল প্রতিবেদন করা হয়েছে। অভিযোগ না থাকায় দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

মন্তব্য করুন


ফেসবুকে আমরা