April 20, 2024, 12:24 pm

দেশে কালো মেঘের আভাস পাওয়া যাচ্ছে: জাফরুল্লাহ

৬ মার্চ ২০২১,বিন্দুবাংলা টিভি. কম, স্টাফ রিপোর্টার :

 

গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, দেশে কালো মেঘের আভাস  পাওয়া  যাচ্ছে। আজকে জয়শঙ্কর এসেছেন, সেই গৎবাঁধা কথা বলছেন, বিনা বিচারে মারা হবে না। কিন্তু ফেলানী হত্যার বিচার কি করেছে? প্রতি সপ্তাহে সীমান্তে মানুষ মারা যাচ্ছে। আজকে কানেক্টিভিটি মানেটা কি? গুজরাটের পণ্য আসামে যেতে পারে না, সেটা আমার উপর দিয়ে সুলভে (স্বল্প খরচ) যাবে। আর আমরা আমাদের বুকের রক্ত দিয়ে স্বাধীন করা দেশটা তাদের জন্য ছেড়ে দেবো।

শনিবার (৬ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল ও কারা হেফাজতে লেখক মুশতাকের মৃত্যুর প্রতিবাদে আয়োজিত মানব বন্ধনে এ কথা বলেন।

ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এনডিপি) এ মানববন্ধনের আয়োজন করে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, আপনার উজবুক মন্ত্রীদের কথা না শুনে, এই আইনটি বাতিল করেন। পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধুকে যখন হত্যা করা হয়েছিলো, তখন চাটুকারেরা কোথায় ছিল? অজানা ঘটনা ঘটলে আপনার ডা. হাছান মাহমুদ বলেন, আর আনিসুল হক বলেন, এদেরকে আর খুঁজে পাওয়া যাবে না।

প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, আমি প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানাতে চাই, শেষ মুহূর্তে ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রীর উপস্থিতিতে তার মদদে উনি সাহস করে টিকা গ্রহণ করেছেন। যে করোনা টিকা এতদিন নেয়ার আহ্বান জানাচ্ছিলাম, সেটা উনি এতো দিন নেননি।

গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা বলেন, যে তথ্যগুলো উনি প্রকাশ করেননি, সেটা হলো এই টিকা কোন টিকা। এটা কি অ্যাস্ট্রোজেনেকার টিকা নাকি ভারতীয় উৎপাদিত টিকা। নাকি জনগণ যে টিকা পেয়েছে সেই টিকা। সেই সঙ্গে আমি উনাকে শোকবার্তায় জানাচ্ছি, দিনের ভোট রাতে নেয়ার মাধ্যমে গণতন্ত্র নিয়ন্ত্রণের যিনি মাস্টারমাইন্ড এইচ টি ইমাম সাহেব দুদিন আগে ইন্তেকাল করেছেন। যার মৃত্যুতে যতো না ক্ষতি হয়েছে রাষ্ট্রের জনগণের, তার চেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে প্রধানমন্ত্রী আপনার। আমলাদের মাধ্যমে গণতন্ত্রকে নিয়ন্ত্রণ এত বড় ঘটনা পৃথিবীতে খুব বেশি নেই। অবশ্য এ জন্য আপনি আমলাদের অনেক সুযোগ-সুবিধা দিয়েছেন। তবে এটা অস্বীকার করার উপায় নেই যে এইচ টি ইমাম একজন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন, মুক্তিযুদ্ধের তার অংশগ্রহণ ছিলো।

তিনি বলেন, একটা কার্টুনিস্ট কার্টুন এঁকে ব্যঙ্গ করে দেশের কি ক্ষতি করতে পারে যে তাকে দশ মাস জামিন দেননি। লেখক মুশতাক আহমেদের কথা আপনারা বলছেন, তার স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে কিন্তু কাউকে যদি আপনারা চিকিৎসা না দেন তাহলে সেটাকে কি স্বাভাবিক মৃত্যু বলা যাবে?

প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে ডা. জাফরুল্লাহ আরো বলেন, বর্তমানে এক লাখের বেশি ব্যক্তি জেলে আছে। ব্রিটিশ আমলেও এতো মানুষ জেলে ছিলো না, পাকিস্তান আমলেও না। ঢাকার কাশিমপুর বলেন আর কেরানীগঞ্জ বলেন সেখানকার হাসপাতলে একটা ইসিজি মেশিন নেই, ভেন্টিলিটার নেই। আপনার বাবা তার অসমাপ্ত আত্মজীবনীতেও কারাগারের এই হাসপাতালগুলোর দুরবস্থার কথা বলে গেছেন। আপনি তো আসলে আমাদেরকে ছোট করছেন না। আপনি আপনার বাবাকে ছোট করছেন। আমাদের নেতাকে ছোট করছেন। এই মহানুভব ব্যক্তি তাকে কি জবাব দেবেন? আপনাকে আমি বলছি- আপনি এই ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টকে অবশ্যই কবর দিয়ে দেন। এই যে সরকারি অর্থ লুট হয়েছে, একটা মামলা এই পর্যন্ত করেননি। দেশে অনেক আইন আছে, এই আইনের সংশোধন করে কোনো লাভ নেই। এই আইনের সংশোধন প্রতারণা হবে। আর কতোদিন প্রতারণা করে চলবেন।

 


আপনার মতামত লিখুন :

মন্তব্য করুন


ফেসবুকে আমরা