April 25, 2024, 12:08 am

৭ ইঞ্চি উচ্চতা হারাচ্ছে বাংলাদেশি মেয়েরা

প্রতীকী ছবি

আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন স্বাস্থ্যবিষয়ক গবেষণা সাময়িকী দ্য ল্যানসেট জানিয়েছে, উচ্চতায় যে দেশের মানুষেরা এগিয়ে তাদের তুলনায় বাংলাদেশসহ মোট চারটি দেশের ছেলে-মেয়েরা নিম্নমানের পুষ্টির কারণে সাত ইঞ্চির বেশি উচ্চতা হারাচ্ছে।

শুক্রবার (৬ নভেম্বর) প্রকাশিত নিবন্ধে এমনটাই জানানো হয়েছে। এতে সবচেয়ে ছোট মেয়েদের (১৯ বছর বয়সী) দেশের তালিকায় বাংলাদেশের নাম দেখা গেছে। বাকি তিনটি দেশ নেপাল, গুয়াতেমালা এবং তিমুর।

অ্যাস্ট্রাজেনেকার সহযোগিতায় দ্য ইমপিরিয়াল কলেজ লন্ডনসহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞানীরা ২০০ দেশের ৬৫ মিলিয়ন (৫ থেকে ১৯ বছর বয়সী) অংশগ্রহণকারীকে নিয়ে গবেষণাটি করেছেন। ২০১৯ সালে সংগ্রহ করা এই তথ্যে সবচেয়ে বেশি লম্বা দেখা গেছে নেদারল্যান্ডস, মন্টেনেগ্রো, ডেনমার্ক এবং আইসল্যান্ডের ১৯ বছর বয়সী কিশোরীদের। বিভিন্ন দেশের তুলনামূলক এই পর্যবেক্ষণে লম্বা দেশের চেয়ে খাটো দেশের কিশোর-কিশোরীদের ওজনও কম দেখা গেছে।

ফলাফলে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের ১৯ বছর বয়সী কিশোরীদের গড় উচ্চতা যতটুকু নেদারল্যান্ডসের ১১ বছর বয়সীদের উচ্চতা ততটুকু! গবেষণা প্রতিবেদনের সিনিয়র লেখক মজিদ এজাতি বলেছেন, ‘এতে বোঝা যাচ্ছে স্কুলে যাওয়ার আগে এবং স্কুলে যাওয়ার দিনগুলোতে বাচ্চাদের ওপর বিভিন্ন দেশের বিনিয়োগে বড় পার্থক্য আছে। কভিড-১৯ মহামারীর সময়ে বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। এই সময়ে অনেক দরিদ্র পরিবার পর্যাপ্ত পুষ্টি পাচ্ছে না।’

আদর্শ ওজনে তারতম্য: সবচেয়ে খাটোর তালিকায় বাংলাদেশের কিশোররা না থাকলেও উচ্চতা অনুযায়ী ওজনের সবচেয়ে নিম্নমানের তালিকায় তাদের দেখা গেছে। কার ওজন কত হওয়া উচিত, তার সূচককে বিএমআই বা বডি ম্যাস ইনডেক্স বলে। ভারত, বাংলাদেশ, তিমুর, ইথিওপিয়ার ছেলে-মেয়েদের বিএমআই সবচেয়ে কম। শুধু মেয়েদের মধ্যে জাপান এবং রোমানিয়ার কিশোরীদের সবচেয়ে কম।

সূত্র : দ্য ল্যানসেট।


আপনার মতামত লিখুন :

মন্তব্য করুন


ফেসবুকে আমরা