March 28, 2024, 8:55 am

৫০ বছর ধরে বাঁশের সাঁকোতে পারাপার, কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ।

২৯ নভেম্বর ২০২০, বিন্দুবাংলা টিভি. কম, গজারিয়া প্রতিনিধিঃ

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার বাউশিয়া ইউনিয়নে পোড়াকচক বাউশিয়া পূর্বপাড়া নমোকান্দী মহল্লার ২০টি হিন্দু পরিবার দীর্ঘ ৫০বছর ধরে বাঁশের সাঁকো দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার করতে হচ্ছে। দাবি জানিয়েও একটি সেতুর ব্যবস্থা করতে পারেননি তারা। জানাগেছে, শুষ্ক মৌসুমে বাউশিয়া ইউনিয়নে পোড়াকচক বাউশিয়া পূর্বপাড়া নমোকান্দী মহল্লার প্রায় ২০টি হিন্দু পরিবারের চলাচল স্বাভাবিক থাকে। কিন্তু প্রতি বর্ষামৌসুম থেকে প্রায় ৯ মাসের জন্য স্থানীয়দের আবার নতুন করে সাঁকো তৈরি করতে হয়। এ সাঁকো দিয়ে শিক্ষার্থীসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ যাতায়াত করেন। আর প্রতি বছর সাঁকোর পেছনে খরচ হয় ৮০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা। স্থানীয়রা জানান, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় উন্নয়ন হলেও তাদের এলাকায় উন্নয়নের ছোঁয়া লাগছে না। এলাকায় কেউ যদি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন তাহলে তাকে সাঁকো দিয়ে তাৎক্ষণিক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া কঠিন। আর আগুন লাগলে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি সেখানে পৌঁছানোর কোনো উপায়ও নেই।

এলাকার একাধিক বাসিন্দা ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, যোগাযোগ ব্যবস্থার এ আধুনিক যুগে এসেও পোড়াকচক বাউশিয়া পূর্বপাড়া নমোকান্দী এলাকায় আজও কোনো সেতু নির্মাণ হয়নি। একটি সেতুর অভাবে দীর্ঘদিন ধরে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কখনও নৌকা আবার কখনও বাঁশের সাঁকো দিয়ে পারাপার হচ্ছেন এলাকার মানুষ। স্থানীয় বাসিন্দা শ্রীঃ মল্লিক বলেন, রাস্তার পার্শ্ববর্তী সরকারি হালট দূরে হওয়ায় রাস্তার নির্মাণের খরচ ব্যয় বহুল হওয়ার কারণে জনপ্রতিনিধিরা রাস্তা নির্মাণের কথা বলেও কথা রাখতে পারেননি। যুগের পর যুগ এ বাঁশের সাঁকো দিয়ে এলাকার মানুষ কষ্ট করে পারাপার হচ্ছেন। এখানে একটি সেতু নির্মাণ এলাকাবাসীর দাবি থাকলেও কারও যেন মাথা ব্যথা নেই। প্রতিবছর এ বাঁশের সাঁকো তৈরি করতে দিতে হচ্ছে প্রায় ১লাখ টাকা। প্রতি বছর বাঁশের সাঁকোটি তৈরি করতে সময় লাগার কারণে ভাড়ায় চালিত নৌকা দিয়ে যাতায়াত করতে হয়।” আরেক বাসিন্দা বাবুল শুক্লা দাশ বলেন, এলাকায় রাতে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে বা গর্ভবতীদের নিয়ে অনেক সমস্যায় পড়তে হয়। তাই এখানে একটি সেতু নির্মাণের দাবি আমাদের দীর্ঘ দিনের।


আপনার মতামত লিখুন :

মন্তব্য করুন


ফেসবুকে আমরা