April 19, 2024, 12:39 pm

বিয়ের পরে বর গেলেন কারাগারে, কনে বাড়িতে

২৫ নভেম্বর ২০২০, বিন্দুবাংলা টিভি. কম, ডেস্ক রিপোর্টঃ

কুমিল্লার আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটরের (পিপি) কক্ষে প্রবাসীর সাবেক স্ত্রী (২৪) ও এক যুবকের (২৯) বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (২৪ নভেম্বর) এ বিয়ের আয়োজন করা হয়। বিয়েতে বর-কনের পরনে উৎসবের পোষাক ছিল না। বরের হাতে ছিল হাতকড়া আর কনের মুখে করোনা প্রতিরোধী মাস্ক। তবে অন্যান্য ধর্মীয় নিয়ম পালন করা হয়।

১০ লক্ষ টাকা দেনমোহরে বিয়ে পড়ান কাজী মাওলানা মো. অলি উল্লাহ ভুইয়া। বর-কনের কবুল বলে বিয়ের পরে মোনাজাত করা হয়। পরে আইনজীবী, পুলিশ, সাংবাদিক, বর-কনের স্বজনদের মাঝে খেজুর বিতরণ করা হয়। আদালতে বিয়ের বর-কনেকে দেখতে ভিড় করে উৎসুক মানুষ। কনে বাড়িতে গেলেও বর গিয়েছেন কারাগারে। তিনি আইনি কার্যক্রম শেষে বুধবার মুক্তি পেতে পারেন।

এর আগে কুমিল্লার সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. আতাব উল্লাহ আপোষের শর্তে যুবককে জামিন দেন এবং আদালত আঙিনায় বিয়ের নির্দেশনা দেন।

মামলার বিবরণ ও স্থানীয় সূত্র জানা যায়, কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার ভাঙ্গাপুস্করনী গ্রামের এক তরুণীর বিয়ে হয় ওই উপজেলার এক সৌদি প্রবাসীর সাথে। তাদের চার বছরের একটি ছেলে রয়েছে। ২০১৫ সালে প্রবাসীর স্ত্রীর সাথে মোবাইলফোনে পরিচয় হয় একই উপজেলার পারুয়ারা গ্রামের সজিব হোসেন লিটনের। লিটন তার অনিচ্ছায় দৈহিক সম্পর্ক করে। সেই ছবি তুলে তা ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে বিভিন্ন সময় ১০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। সেই ভিডিও তার প্রবাসী স্বামীর পরিবারে পাঠায়। এতে স্বামী তাকে ডির্ভোস দেন। পরবর্তীতে তার নিকট পুনরায় পাঁচ লাখ টাকা দাবি করা হয়। তিনি অপারগতা প্রকাশ করে গত অক্টোবর মাসে চৌদ্দগ্রাম থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশ আসামিকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠায়। মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সরকার গিয়াস উদ্দিন মাহমুদ বলেন, বাদীর দাবি অনুযায়ী আসামি তাকে ফাঁদে ফেলে ছবি তুলেছে। সেই ছবি প্রবাসী স্বামীর নিকট পাঠানোর কারণে তাকে ডির্ভোস দিয়েছে। বাদী ও আসামি পক্ষ এলাকায় বিয়ের শর্তে আপোষ করে এসেছে। আদালত আপোষের শর্তে আসামিকে জামিন দিয়েছেন। এছাড়া আদালত আঙিনায় বিয়ের নির্দেশনা দিয়েছেন। ১০ লাখ টাকা দেনমোহরে পিপির কক্ষে বিয়ে হয়েছে।

আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট তারেকুল আলম রাসেল বলেন, মূলত বাদী ও আসামির মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। আসামিও জানতেন না বাদী বিবাহিত। এটা ভুল বোঝাবুঝি। এখন আপোষের কারণে আদালত জামিন দিয়েছেন এবং বিয়ের ব্যবস্থা করেছেন।

এদিকে এ বিষয়ে বাদী ও আসামি পক্ষের বক্তব্য জানতে চাইলে তারা গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে কোনো কথা বলতে রাজি হননি।


আপনার মতামত লিখুন :

মন্তব্য করুন


ফেসবুকে আমরা