March 28, 2024, 10:42 pm

অস্ত্রসহ ৩৪ জলদস্যুর আত্মসমর্পণ

১১ নভেম্বর ২০২০, বিন্দুবাংলা টিভি. কম, ডেস্ক রিপোর্টঃ

চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে ১১টি দস্যু বাহিনীর ৩৪ জলদস্যু অস্ত্রসহ আত্মসমর্পণ করেছেন।

বৃহস্পতিবার (১২ নভেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বাঁশখালী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে র‌্যাব আয়োজিত আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এমপি’র কাছে অস্ত্র জমা দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে  আত্মসমর্পণ করেন তারা।

অস্ত্র ছেড়ে  স্বাভাবিক জীবনে ফেরার প্রত্যয়ে কক্সবাজার জেলার মহেষখালী, কুতুবদিয়া এবং চট্টগ্রামের বাঁশখালী অঞ্চলের এসব জলদস্যু র‌্যাবের মাধ্যমে আত্মসমর্পণের জন্য  এর আগে থেকেই প্রস্তুতি নেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এমপি। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন— স্বরাষ্ট মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় কমিটির সভাপতি শামসুল হক টুকু, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, স্থানীয় সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান, র‌্যাব মহাপরিচালক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন, পুলিশের আইজিপি বেনজির আহমেদ, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ইলিয়াস হোসেনসহ বিভিন্ন পর্যায়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন র‌্যাব-৭ অধিনায়ক লে. কর্ণেল মশিউর রহমান জুয়েল।

র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ জানান, চট্টগ্রাম র‌্যাব-৭ বঙ্গোপসাগর ভিত্তিক জলদস্যুতা দমন এবং দুর্ধর্ষ জলদস্যুদের আত্মসমর্পণ করাতে দীর্ঘদিন মাঠে কাজ করে যাচ্ছিল। এরই ধারাবাহিকতায় আজ ১১ বাহিনীর ৩৪ জলদস্যু আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে তাদের নিজ নিজ অস্ত্র স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে জমা দিয়ে নিজেদের র‌্যাবের হাতে সপে দেন এবং দস্যুতা ছেড়ে স্বাভাবিক জীবন যাপনের প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। এই সময় আত্মসমর্পণকারী জলদস‌্যুদের স্বজন ও পরিবারের সদস্যরাও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, অস্ত্রসমর্পণের মাধ্যমে দস্যুদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে দীর্ঘদিন ধরেই কাজ করছে র‍্যাব। এর আগে কক্সবাজারেও বিপুল সংখ্যক জলদস্যু আত্মসমর্পণ করেন।

এছাড়া, সুন্দরবন এলাকায় সক্রিয় ডাকাত ও জলদস্যুদের বড় একটি অংশকে এর মধ্যে অস্ত্রসমর্পণ করানো সম্ভব হয়েছে। এই এলাকায় ২০১৬ সালের ৩১ মে থেকে ২০১৮ সালের ১ নভেম্বরের মধ্যে ৩২টি ডাকাত দলের ৩২৬ জন মোট ৪৮২টি অস্ত্র জমা দিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছেন। তাদের প্রত্যেককে এক লাখ টাকা নগদ সহায়তা ও আইনি সহায়তার ব্যবস্থা করেছে সরকার। দস্যুবৃত্তি ছেড়ে এদের অনেকেই এখন মাছ চাষ, কাঁকড়া চাষসহ বিভিন্ন কাজে যুক্ত হয়েছেন।


আপনার মতামত লিখুন :

মন্তব্য করুন


ফেসবুকে আমরা