April 18, 2024, 10:23 am

মেঘনায় বিদ্যুতের ভূতুড়ে বিলে দিশেহারা গ্রাহকরা

৬ জুন ২০২০, বিন্দুবাংলা টিভি. কম, মহসীন ভুইয়া :

করোনা পরিস্থিতি ও লকডাউনের কারনে সাধারণ মানুষ কর্মহীন। তার উপর কুমিল্লর মেঘনা উপজেলায় বিদ্যুতের ভূতুড়ে বিলে দিশেহারা হয়ে পড়েছে সাধারণ গ্রাহকরা। আবার বিল সংশোধন করতে অফিসে গিয়ে হয়রানিরও শিকার হচ্ছেন অনেকেই। এমন অভিযোগও পাওয়া যাচ্ছে।বিল পরিশোধের পরও এক মাসের বিদ্যুৎ বিলে তিন মাসের বিল। হঠাৎ করে বিদ্যুৎ বিল পূর্বের মাসগুলোর তুলনায় চার পাঁচগুণ বেড়ে গেছে। সব মিলিয়ে করোনা পরিস্থিতিতে যেন গ্রাহকের মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়েছে। তারা খোঁজে পাচ্ছে না সমাধানও। এমন পরিস্থিতিতে অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মেঘনা পল্লী বিদ্যুতের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এ দিকে বিদ্যুৎ চমকালেই বিদ্যুৎ চলে যায়। জনস্রোতী বিদ্যুৎ যায়না মাঝে মাঝে আসে। গ্রাহকেরা ফেসবুকে বিলের পেপার দেখিয়ে বলেন যে, আমার মিটারের রিডিং ও বিলের পেপারের সাথে কোন মিল নেই। শত শত গ্রাহকের নানা অসংগতির অভিযোগ উঠেছে। কুমিল্লা পল্লি বিদ্যুৎ সমিতি ৩ এর সাব জোনাল অফিস মেঘনা সূত্রে জানা যায় মেঘনায় মোট বর্তমানে গ্রাহক সংখ্যা ৩০,৬০০ জন। বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে ৭ মেঘাওয়াট ফলে কোন রকমের বিদ্যুতের ঘাটতি নেই। এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক গ্রাহক অভিযোগ করেন বিদ্যুৎ অফিসটি একটি হয়রানির কারখানা, বিভিন্ন অজুহাতে গ্রাহকদের হয়রানি করা হয় এবং এক শ্রেণির দালাল চক্র আছে তাদের মাধ্যমে কাজ দিলে আবার বিদ্যুতের মতই কাজ সমাধান করে দিচ্ছে। এ বিষয়ে এজিএম বাসুদেব দত্তের নিকট জানতে চাইলে বিন্দুবাংলা টিভি কে মুঠোফোনে বলেন ভুতুড়ে বিল বলতে কোন কথা নেই লকডাউনের কারনে মিটার রিডাররা রিডিং দেখতে না পারায় গত বছরের এই সময়ের বিলের উপর ধারনা করে বিলটি তৈরি করা হয় কিছুটা অসংগতি হতে পারে গ্রাহকরা ইতিমধ্যে আমাদের সরনাপন্ন হচ্ছেন আমরা সমাধান করে দিচ্ছি। অলরেডি সরকার এ বিষয়টি জনগণের জ্ঞাতার্থে জানিয়ে দিয়েছেন। লোডসেডিং সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন লোড সেডিং বলতে মেঘনায় কোন সমস্যা নেই যান্ত্রিক ত্রুটি বা বৈরি আবহাওয়া ছাড়া মেঘনায় বিদ্যুৎ যায়না কারন আমাদের চাহিদার তুলনায় বিদ্যুৎ বেশি আছে।


আপনার মতামত লিখুন :

মন্তব্য করুন


ফেসবুকে আমরা