March 28, 2024, 2:42 pm

করোনা আক্রান্ত ম্যাজিস্ট্রেট, হোমকোয়ারেন্টাইনে উপজেলা চেয়ারম্যান, ইউএনও, এসিল্যান্ড

১৯ এপ্রিল ২০২০, বিন্দুবাংলা টিভি . কম, ডেস্কঃ নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলায় করোনাভাইরাসে (কভিড-১৯) এ আক্রান্ত হয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। এরপর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ইউএনও, সহকারী কমিশনার (ভূমি) উপজেলার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন।

রোববার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মমতাজ বেগম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

উপজেলা পরিষদ সূত্রে জানা যায়, এ মাসের প্রথম দিকে জেলা প্রশাসকের নির্দেশনা অনুযায়ী নারায়ণগঞ্জ থেকে রূপগঞ্জ উপজেলায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে ওই করো আক্রান্তকে কাজ করতে পাঠানো হয়। এখানে যোগদানের পর থেকে তিনি উপজেলা চেয়ারম্যান, ইউএনও, সহকারী কমিশনার (ভূমি), উপজেলার কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে মাঠে কাজ করে যাচ্ছিলেন। গত এক সপ্তাহ ধরে জ্বর, ঠান্ডা ও কাশিসহ করোনা উপসর্গে ভুগছিলেন তিনি। পরে নমুনা পরীক্ষা হলে তিনি করোনায় আক্রান্ত বলে জানা যায়।

জানা যায়, এরপর ওই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের করোনা পজিটিভ হওয়ায় উপজেলা চেয়ারম্যান শাহজাহান ভুইয়া, ইউএনও মমতাজ বেগম, সহকারী কমিশনার (ভূমি) আফিফা খান, উপজেলার কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ পরিবারের সদস্যরা হোম কোয়ারেন্টাইনে চলে যান। আর করোনা আক্রান্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা আক্তারকে উপজেলা পরিষদের ডাক বাংলোয় কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। সেখানেই তিনি চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা নিচ্ছেন।

উপজেলার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পরিবারসহ হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকলেও মোবাইল ফোনের মাধ্যমে উপজেলার যাবতীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করবেন। এ ছাড়া উপজেলার কর্মচারীদের তিনটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে অফিসের কার্যক্রম পরিচালনা করতে বলা হয়েছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. ফয়সাল আহমেদ বলেন, একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তিনি ঢাকা থেকে করোনার নমুনা পরীক্ষা করিয়েছেন। তবে উপজেলা পরিষদের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নমুনা সংগ্রহ করা হবে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মমতাজ বেগম বলেন, ভ্রাম্যমাণ আদালতের এক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তাকে নারায়ণগঞ্জ থেকে আমাদের সঙ্গে কাজ করতে রূপগঞ্জে পাঠানো হয়েছিল। তিনি বর্তমানে উপজেলার একটি বাড়িতে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা নিচ্ছেন। যেহেতু আমরা একসঙ্গে সভা ও মাঠে কাজ করেছি এ কারণে আমি ও উপজেলার অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পরিবার নিয়ে হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছি। বিভিন্ন সাধারণ মানুষকে বুঝিয়েও ঘরে রাখা যাচ্ছে না। এখনো হাটবাজারে ভিড় লেগেই আছে। মানুষ লকডাউন না মেনে এখনো বাইরে ঘোরাফেরা করছেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসন মানুষকে ঘরে রাখতে দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন…


আপনার মতামত লিখুন :

মন্তব্য করুন


ফেসবুকে আমরা