April 18, 2024, 9:09 am

মেঘনা আওয়ামীলীগের সম্মেলন হোক সম্প্রীতির  

১৮ জুলাই ২০২২ইং বিন্দুবাংলা টিভি. কম,

এম এইচ বিপ্লব সিকদার।। 

গণতান্ত্রিক দেশে অধিক রাজনৈতিক দল থাকবে এটা স্বাভাবিক। জনগণের সমর্থন নিয়ে যেমন সরকার গঠন করা আবার গঠনতন্ত্র মোতাবেক বা সমঝোতার ভিত্তিতে কর্মীদের সমর্থনে নেতা নির্বাচিত করা প্রতিটি রাজনৈতিক দলের রীতি। তবে সব দলের গঠন তন্ত্র এক না হলেও ভিন্নতাও খুব কম। দলকে ঢেলে সাজানোর লক্ষে জনমত গঠন, মানুষের সুষম  অধিকার আদায়ের আন্দোলন চালিয়ে যেতে গঠনতন্ত্র মোতাবেক সম্মেলনের মাধ্যমে নেতৃত্ব বাছাই করা হয়। টানা তৃতীয় বারের মতো বাংলাদেশ আওয়ামিলীগ ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত। ফলে দেশের প্রতিটি অঞ্চলে ক্ষমতায় ভাসতে দলটির  নেতা কর্মীর সংখ্যা ব্যাপক হারে বেড়েছে। বিরোধী মত কুন্ঠাসা হওয়ার ফলে সরকারি দলের গ্রুপিং কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। খোদ দলটির সিনিয়র নেতারাও লাগাম টানতে হিমশিম খাচ্ছে। কমিটি গঠন নিয়ে গ্রুপ থেকে উপগ্রুপ তৈরি হয়েছে। সব গ্রুপই কোননা কোন সিনিয়র ডাকসাইটে নেতার আশ্রয়  প্রশ্রয়ে লালিত। বাংলাদেশ আওয়ামিলীগ কুমিল্লা উত্তর জেলা ইউনিটের মধ্যে দীর্ঘদিন চাপা কোন্দল থাকলেও বিভিন্ন উপজেলা ইউনিট গঠন করা শুরু হলে তৃণমূল পর্যন্ত  কোন্দল এখন প্রকাশ্যেই রুপ নিয়েছে। এমনকি জেলার উচ্চ পর্যায়ের সভায় খোদ মহান সংসদ ভবনেই  দেবিদ্বার উপজেলার সম্মেলন নিয়ে প্রস্তুতি সভায় উপজেলা চেয়ারম্যান ও সাংসদের মধ্যে অপ্রীতিকর ঘটনা ও জেলা সভাপতিকে লাঞ্চিত করা হয়েছে। যা রাজনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত। আগামী ২১ জুলাই দেবিদ্বার উপজেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। অপ্রীতিকর ঘটনাকে কেন্দ্র করে দায়িত্বশীল নেতারা সম্মেলন স্থগিত ঘোষণা করার পাশাপাশি বর্তমান কমিটি কার্যক্রম পরিচালনা করবে এমন সিদ্ধান্ত নেয় দলটি। ধারাবাহিকতায় আগামী ২৩ জুলাই মেঘনা উপজেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলন। সম্মেলনকে ঘিরে চাপা কোন্দল ধীরে ধীরে প্রকাশ্যে রুপ নিচ্ছে।  সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দলটির কেন্দ্রীয় নির্দেশনা মোতাবেক বিগত নির্বাচনে দলীয় নির্দেশনা অমান্য করে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ার ফলে দলের কোন পদে প্রার্থী হতে পারবেনা এই নির্দেশনা কে ঢাল হিসেবে নিয়ে শুরু হয়েছে কাদা ছুড়াছুঁড়ি। সময় যত ঘনিয়ে আসছে গ্রুপিংয়ের উত্তাপ বেড়েই চলছে। জমকালো আয়োজনে সম্মেলন করার জন্য উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ ইউনিয়ন, ওয়ার্ড, কেন্দ্র সহ সকল পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ পৃথক দফায় দফায় সভা করেছেন। সম্মেলন সফল করতে বিভিন্ন উপ কমিটি করা হয়েছে। তবে বর্তমান কমিটির শীর্ষ নেতৃত্ব সরব থাকলেও নতুন নেতারা পদ দখলের জন্য জোর লবিং চালিয়ে যাচ্ছেন। উপজেলা জুড়ে এখন সম্মেলন নিয়েই আলোচনা। কে হবে সরকারি দলের উপজেলার শীর্ষ নেতা। একাধিক কোরাম তৈরির ফলে সম্মেলনের দিন যত ঘনিয়ে আসছে গ্রুপিংয়ের উত্তাপটা তত বেড়ে চলছে। বিশেষ করে দেবিদ্বারের ঘটনার প্রভাব মেঘনায় যে পরবেনা ঠিক তাওনা, সচেতন মহল এ নিয়ে খুব উদ্বীগ্ন কারণ সেই নেতারাইতো মেঘনার কমিটি করবেন সমঝোতা হোক বা ভোটের মাধ্যমে হোক।প্রশ্ন হলো যদি আগাগোড়াই বলয় তৈরি হয় পরিস্থিতিতে এমনই দেখছেন সচেতন মহল তা হলেতো সংঘাতের সম্ভাবণা একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায়না। প্রশাসনের সার্বিক ব্যবস্থা কঠোর থেকে কঠোর প্রস্তুতি থাকতে হবে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে। কেন্দ্রীয় নেতাদের ইতমধ্যে দাওয়াত দিয়েছে দায়িত্ব প্রাপ্তরা। যদি কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতি আশা করা যায়। সেই ক্ষেত্রে কামনা করিনা যদি আকস্মিক কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে সেটা কতটা মেঘনাবসীর জন্য অমঙ্গল এবং অপবাদের হবে তা লিখে শেষ করা যাবেনা। রাজনৈতিক দলের সম্মেলনে উত্তাপ থাকবে তবে সেটা হতে হবে শালিনতার সাথে,গঠন মূলক, সমালোচনা হবে। এক পদে একাধিক প্রার্থী থাকবে এটা স্বাভাবিক প্রতিযোগিতা হবে যেন কোন ভাবেই প্রতিহিংসায় রুপ না নেয় সে দিকে দলের নীতিনির্ধারকেরা সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে জোড়ালো। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা থাকতে হবে যেন কোন ভাবেই বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয়। ক্ষমতাসীন দলের সম্মেলন নিয়ে সাধারণ নাগরিকরা সব সময় উদ্বিগ্নতায় থাকে। কারন অপ্রীতিকর কিছু ঘটলে আগত অতিথি সবাই চলে যাবে কিন্তু স্থানীয়রা থেকেই যাবে ফলে মাশুল দিতে হবে তাদের। তাই মেঘনার সচেতন নাগরিকদের ভাষ্যমতে দ্বন্দ্ব ভুলে হয় সমঝোতা না হয় গঠনতন্ত্র মোতাবেক সম্মেলন হোক সম্প্রীতির, কোন সংঘাত নয়।
লেখক – কাউন্সিলর, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন ( বিএফইউজে)


আপনার মতামত লিখুন :

মন্তব্য করুন


ফেসবুকে আমরা