March 29, 2024, 8:16 am

মেঘনা উপজেলা চত্বরে ছাত্রলীগের সভা ঘিরে হামলা,৩০ মোটর সাইকেল ভাঙচুর

১৭ নভেম্বর ২০২২ইং,বিন্দুবাংলা টিভি ডটকম, নিজস্ব প্রতিবেদক।।

কুমিল্লার মেঘনা উপজেলা ছাত্রলীগের সভা ঘিরে হামলা, ৩০ মোটরসাইকেল ভাংচুর,  সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান সভাপতি প্রার্থী মোঃ মোহসীন সোহাগ সহ কয়েকজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার  উপজেলা চত্বরে এ হামলা  হয়। আহতরা স্থানীয় চিকিৎসা কেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন। বিক্ষুব্ধ দুই গ্রুপ, উত্তপ্ত মেঘনা উপজেলা।  জানা যায় ছাত্রলীগের কমিটি নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত দুটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে আছে। মহসীন সোহাগের নেতৃত্বে একটি গ্রুপ এস এইচ সাঈদ ও শফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি গ্রুপ। দুটি গ্রুপকেই পরোক্ষভাবে আওয়ামিলীগ  অংগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ মদদ দেওয়ার অভিযোগ আছে। দুই গ্রুপই  সিনিয়র নেতাদের নামে শ্লোগানে প্রকম্পিত করেছে রাজপথ। আতংক ছড়িয়ে পড়ছে পুরো উপজেলায়।    জেলা পরিষদ সদস্য মোঃ কাইয়ুম হোসাইন কে এস এইচ সাঈদ ও শফিকুল ইসলাম কে নিয়ে মিছিল করতে দেখা গেছে অন্যদিকে সংঘর্ষ শেষ হওয়ার পর মহসিন সোহাগ কাইয়ূম কে চ্যালেঞ্জ ছেড়ে বক্তব্যে রেখেছেন। সমাধানের লক্ষ্যে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী কুমিল্লা উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এডভোকেট মহিউদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম রুবেল উপস্থিত হয়ে মেঘনা ছাত্রলীগকে সু-সংঘঠিত করার লক্ষে আলোচনা করবেন। এই লক্ষে কর্মসূচি সফল করার জন্য উপজেলা ও বিভিন্ন ইউনিয়ন ওয়ার্ডের ছাত্রলীগ কর্মীরা উপজেলা জেলার নেতদের মোটর সাইকেল শোভাযাত্রার মাধ্যমে বরন করে।  পার্কিং করা মোটরসাইকেল ভাংচুর সহ  মারামারিতে  রুপ নেয়। ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বর্তমান সভাপতি প্রার্থী মহাসিন সোহাগ সহ আহত হন অনেকেই। প্রায় ৩০ টার মতো মোটরসাইকেল ভাঙচুর হয়। পরে মেঘনা থানা পুলিশ উপস্থিত হয়ে ঘটনা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে । এদিকে কুমিল্লা উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক উপস্থিত হয়ে এমন পরিস্থিতি জেনে কর্মসূচি হবে না জানিয়ে চলে যান। এ বিষয়ে মহসিন সোহাগ বলেন, এখানে ছাত্রলীগের প্রোগ্রাম এখানে জেলা পরিষদের সদস্য মোঃ কাইয়ুম এর  কোন কাজ নেই কিন্তু উনি উপস্থিত হয়ে আমি সহ আমার কর্মীদের উপর হামলা করান। আপনারা জানেন ছাত্রলীগের কর্মীরা ছাত্র আর ছাত্রদের চলাচলের এমনিতেই অসুবিধা হয়। এই অবস্থায় আমার সহ আমার কর্মীদের ৩০ টা মোটরসাইকেল ভেঙ্গে দিয়েছে, এমন হলে ছাত্ররা কিভাবে রাজনীতি করবে। কুমিল্লা জেলা পরিষদের সদস্য কাইয়ুম হোসেন বলেন মারামারীর সময় আমি এখানে ছিলামনা পরে এসেছি, আসার পরে আমার ভূমিকা কি ছিল পুলিশ ছিল ওরা দেখেছে। মেঘনা উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রতন সিকদার বলেন উপজেলা পরিষদের ভিতরে লাঠি সোঠা নিয়ে ঢুকে এমন সন্ত্রাসী কর্মকান্ড  এটা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং কুমিল্লা উত্তর জেলা প্রেসিডেন্ট সেক্রেটারি আসবে মেঘনা ছাত্রলীগের দিকনির্দেশনা দিবে এটা মাথায় রেখে সবাইকে কাজ করা উচিত ছিল। এমন ন্যাককারজনক ঘটনা মেঘনার জন্য সুফল হবে না আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। মেঘনা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)মোঃ  ছমিউদ্দিন বলেন এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোন মামলা হয়নি মামলা হলে বিষয়টি তদন্ত করে  ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

মন্তব্য করুন


ফেসবুকে আমরা