March 29, 2024, 12:38 am

পাহাড় থেকে ঝুঁকিপূর্ণ বসতি সরাতে অভিযান শুরু

১৪ জুন ২০২১, বিন্দুবাংলা টিভি. কম, ডেস্ক রিপোর্টঃ

চট্টগ্রামে বর্ষা মৌসমে পাহাড় ধসের আশংকায় পাহাড়ে অবৈধ ও ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের উচ্ছেদ অভিযান চালাচ্ছে জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর।

সোমবার সকাল ১১টা থেকে নগরীর ফৌজদারহাট-বায়েজিদ লিংক রোডের বায়েজিদ অংশ থেকে এ অভিযান শুরু হয়েছে। ছয় জন ম্যাজিস্ট্রেট তিনটি দলে ভাগ হয়ে এই অভিযান পরিচালনা করছেন।

প্রথম দিনের অভিযানে বায়েজিদ লিংক রোডে অবৈধভাবে তৈরি করা ঝুঁকিপূর্ণ স্থাপনাগুলো উচ্ছেদ করা হচ্ছে। এর আগেও কয়েক দফা পাহাড়গুলোতে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হলেও সেখানে আবারও বসতি গড়ে তোলা হয়েছে।

বিকেল ৪টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে এসব স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। প্রায় তিন শ জনবল ও তিনটি এক্সকেভেটরের সহায়তায় বায়েজিদ লিংক রোডের মহানগর অংশে ১১০টি, সীতাকুণ্ড অংশে ৭০টি এবং হাটহাজারী অংশে ১৯০টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। অধিকাংশ স্থাপনা টিনের তৈরি ঘর। কিছু সেমিপাকা এবং পাকা সীমানা দেয়াল উচ্ছেদ করা হয়েছে।

অভিযানে নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসনের ছয়জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। তারা তিনটি দলে ভাগ হয়ে অভিযান পরিচালনা করেন। এছাড়াও পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক নুরুল্লাহ নূরী অভিযানে উপস্থিত ছিলেন।

বায়েজিদ লিংক রোডের হাটহাজারী অংশে অভিযান পরিচালনা করেন হাটহাজারীর সহকারী কমিশনার (ভূমি) শরীফ উল্যাহ, সহকারী কমিশনার (ভূমি), পতেঙ্গা সার্কেল এহসান মুরাদ।

লিংক রোডের সীতাকুণ্ড অংশে অভিযান পরিচালনা করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. রাশেদুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার (ভূমি) সদর সার্কেল মাসুমা জান্নাত।

লিংক রোডের মহানগর অংশে অভিযান পরিচালনা করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) চান্দগাঁও সার্কেল মামনুন আহমেদ অনীক, সহকারী কমিশনার (ভূমি), কাট্টলী সার্কেল মুহাম্মদ ইনামুল হাসান।

চট্টগ্রামের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মামনুন আহমেদ অনীক বলেন, বায়েজিদ লিংক রোডের দুই পাশে অবৈধ যেসব স্থাপনা আছে সব উচ্ছেদ করা হচ্ছে। লিংক রোডের কাট্টলী, হাটহাজারী ও সীতাকুণ্ড অংশে ছয় জন ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে একযোগে উচ্ছেদ অভিযান চলছে।

প্রসঙ্গতক, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের তথ্যানুযায়ী জেলায় সরকারি ও ব্যক্তি মালিকানাধীন ১৭টি অতি ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ে ৮৩৫টি পরিবার বসবাস করছে। বেশি ঝুঁকিপূর্ণভাবে ব্যক্তি মালিকানাধীন ১০টি পাহাড়ে অবৈধভাবে বসবাসকারী পরিবারের সংখ্যা ৫৩১। সরকারি বিভিন্ন সংস্থার মালিকানাধীন সাতটি পাহাড়ে অবৈধ বসবাসকারী পরিবারের সংখ্যা ৩০৪। এগুলোর বাইরেও সিডিএর বায়েজিদ-ফৌজদারহাট লিংক রোড নির্মাণের সময় নতুন করে ১৬টি পাহাড় কাটা হয়। সেখানকার ৮ পাহাড়ে নতুন করে অবৈধ বসতি গড়ে উঠেছে।

পরিবেশবিদরা বলছেন, চট্টগ্রামের বিভিন্ন পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীর সংখ্যা প্রায় এক লাখ। ২০০৭ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত চট্টগ্রামে পাহাড় ধসে দুই শতাধিক মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। এর মধ্যে পাহাড় ধসে সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা যায় ২০০৭ সালে। ওই বছরের ১১ জুন টানা বর্ষণের ফলে চট্টগ্রামে পাহাড় ধসে ১২৭ জনের মৃত্যু হয়। আর ২০১৭ সালে মারা যান ৩০ জন।


আপনার মতামত লিখুন :

মন্তব্য করুন


ফেসবুকে আমরা