April 23, 2024, 11:11 pm

ইসলামপুরে প্রতিপক্ষের হামলায় বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটের অভিযোগ

২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১, বিন্দুবাংলা  টিভি . কম,

শহিদুল ইসলাম কাজল, জামালপুর:
জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলায় একটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলাকে কেন্দ্র করে বসতবাড়িতে ভাঙচুর করাসহ অন্তত ১০ লাখ টাকার জিনিসপত্র লুটের অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগিরা অভিযোগ করেছেন থানা পুলিশসহ জনপ্রতিনিধি ও এলাকার সুধীজনদের নিকট।
জানা যায়, পুলিশি গ্রেফতার এড়াতে ওই মামলায় মানিত আসামি ও তাদের পরিবারের লোকজনসহ গ্রামের অনেক নারী-পুরুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে আত্মগোপনে যান। এ সুযোগে তাদের বাড়িঘরে ভাঙচুর চালিয়ে ধান, চাল, আসবাবপত্র, নগদ টাকা-পয়সাসহ বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র লুট করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, ‘মামলার পর পুলিশি গ্রেফতার এড়াতে বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র চলে যাওয়ার সুযোগে তাদের ধন-সম্পাদ লুট করা হয়েছে। ভাঙচুর করা হয়েছে ঘর, দরজা, আসবাবপত্রসহ রান্না করার চুলা পর্যন্ত।
মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার চরগোয়ালিনী ইউনিয়নের ডিগ্রিরচর পয়স্তী গ্রামের আমীন মোল্লার ছেলে মো রুবেল (১৫) গত ৪ জানুয়ারি রাত সাড়ে সাতটায় বাড়ির উঠানে ব্যাডমিন্টন খেলার জন্য দাগ টানে। একই বাড়ির নুর ইসলামের ছেলে এমদাদুলের সজনা গাছের একটি ডাল ব্যাডমিন্টন খেলতে অসুধা হওয়ায় ডালটি কেটে ফেলে রুবেল। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে এমদাদুল, তার ভাই বাবলা, বাবুসহ তাদের লোকজন রুবেলের উপর হামলা করে। এতে রুবেলসহ বেশ ক’জন আহত হয়। গুরুতর আহত রুবেলকে প্রথমে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক অবস্থার বেগতিক দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। পরদিন ৫ জানুয়ারি রুবেল মারা যায়। ওইদিন নিহত রুবেলের বাবা বাদী হয়ে এমদাদুলকে প্রধান আসামি দিয়ে ১৪ জনের নামোল্লেখে ইসলামপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করে। মামলা নম্বর- ৪।
ভুক্তভোগিদের অভিযোগ, তাদের বসতবাড়ি থেকে লুট করা হয়েছে ধান, চাল, আসবাবপত্রসহ প্রায় অন্তত ১০ লাখ টাকার মালামাল।
ভুক্তভোগি ফরহাদ অভিযোগ করেছেন, তার দুইটি টিনসেড ঘর ভাংচুর করা হয়েছে। একই অভিযোগ আবু তাহেরের। হাসান মোল্লা জানান, তার হাফ বিলডিংয়ে ভাংচুর চালিয়ে ব্যাপক ক্ষতি সাধন করা হয়েছে। মণ্ডল মিয়া জানিয়েছেন তার টিনসেড ঘরেও হামলা চালানো হয়। ধন-সম্পদ লুটতরাজের এমন অভিযোগ প্রায় সবগুলো আসামিরই।
মামলায় উল্লেখিত ৭ নম্বর আসামি ফুরকাতের স্ত্রী সাহিদা বেগম জানান, ‘সংঘর্ষের সময় ঘটনাস্থলে আমার স্বামী ছিল না। অথচ আমাদের ফাঁসানোর জন্যই হত্যা মামলায় আমার স্বামীজে আসামি দেয়া হয়েছে।’
এ ব্যাপারে মামলার বাদী আমীন মোল্লা  লুটতরাজের ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, ‘কে বা কারা আসামিদের ধন-সম্পদের ক্ষতি করেছে তা আমি জানি না।’
মামলার আসামি এমদাদুলসহ অন্যরা জানান, ‘মামলার ঘটনাকে পুঁজি করে আমাদের বাড়িঘরে ব্যাপক ভাংচুর চালানো হয়েছে। লুট করা হয়েছে অন্তত ১০ লাখর সমমূল্যের জিনিসপত্র।
এ ব্যাপারে মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা ইসলামপুর থানাধীন ডিগ্রিরচর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এসআই মো.দেলোয়ার হোসেন জানান, ধন-সম্পদ লুটে করা গুরুতর অপরাধ। তিনি আরও জানান, ‘ধন-সম্পদ লুটের বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’


আপনার মতামত লিখুন :

মন্তব্য করুন


ফেসবুকে আমরা