March 29, 2024, 9:07 am

পিকে হালদারের স্থাবর সম্পদ ক্রোকের নির্দেশ

২৯ ডিসেম্বর ২০২০, বিন্দুবাংলা টিভি. কম, ডেস্ক রিপোর্টঃ

সাড়ে ৩ হাজার টাকা লুট করে বিদেশে পালিয়ে যাওয়া প্রশান্ত কুমার হালদারের (পিকে হালদার) স্থাবর সম্পদ ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কে. এম. ইমরুল কায়েশের আদালত এই আদেশ দেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপ-পরিচালক মো. সালাউদ্দিন এ আবেদন করেন। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)-এর আইনজীবী মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর এই তথ্য জানান।

এর আগে, গত ২ ডিসেম্বর পিকে হালদারকে ইন্টারপোলের মাধ্যমে গ্রেপ্তারের জন্য পরোয়ানা জারির আদেশ দেন ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ।

ধানমন্ডির দুটি ফ্ল্যাটসহ পিকে হালদারের স্থাবর সম্পদ ক্রোকের আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদক উপপরিচালক মো. সালাউদ্দিন। শুনানি শেষে স্থাবর সম্পদ ক্রোকের আদেশ দেন আদালত।

আদালতে দুদকের আইনজীবী মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর আবেদনের শুনানি করেন। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েশ এ আদেশ দেন।

প্রসঙ্গত, পিকে হালদার পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স সার্ভিস লিমিটেডের (আইএলএফএসএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন। গ্রাহকদের অভিযোগের মুখে বছরের শুরুতেই পিকে হালদার বিদেশ পালান। এরপর চলতি বছরের ৮ জানুয়ারি ২৭৪ কোটি ৯১ লাখ ৫৫ হাজার ২৫৫ টাকার অবৈধ সম্পদের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।

এদিকে পিকে হালদারকে দেশে ফিরিয়ে আনতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ইন্টারপোলের সহায়তায় আবেদন করে কমিশন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পিকে হালদারের বিরুদ্ধে করা সব মামলার নথি চায় ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল পুলিশ অর্গানাইজেশন (ইন্টারপোল)।

আর্থিক খাত থেকে আত্মীয়স্বজন চক্রের মাধ্যমে অন্তত ১০ হাজার কোটি টাকা সরিয়ে নেয়ার কারিগর পিকে হালদারের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত ৪০০ কোটি টাকা বিদেশে পাচারের অফিসিয়াল তথ্য পাওয়া গেছে বলে জানা গেছে। দুদক ছাড়াও বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা বিভাগ পিকে হালদার ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করছে। এ ছাড়া দুদকের ক্যাসিনো দুর্নীতির মামলায় চার্জশিট তালিকায় লিজিং কোম্পানি ও আর্থিক খাত থেকে কয়েক হাজার কোটি টাকা পাচারে জড়িত পিকে হালদারের নামও রয়েছে।

এদিকে নিরাপত্তা চেয়ে গত ১৯ অক্টোবর হাইকোর্টে আবেদন করে আইএলএফএসএল জানায়, আত্মসাত করা অর্থ ফেরত দিতে জীবনের নিরাপত্তার জন্য আদালতের আশ্রয়ে পিকে হালদার দেশে ফিরতে চাইছেন। আবেদন গ্রহণ করে ২১ অক্টোবর হাইকোর্ট এক আদেশে বলেন, পিকে হালদার বিমান থেকে দেশের মাটিতে পা রাখার সঙ্গে সঙ্গে তাকে গ্রেপ্তার করে উপযুক্ত আদালতে সোপর্দ করতে হবে।

পিকে হালদার যদি দেশে আসেন, তাহলে এই কোম্পানি মেটারটা নিষ্পত্তি করা যাবে। সেটা নিষ্পত্তি করার জন্য এই কোর্ট দেখতে চায় যে, তিনি বিমানযোগে দেশে পা ফেলা মাত্র তাকে যেন অ্যারেস্ট করা হয় এবং জেলে নেয়া হয়। তাকে যেন বাইরে যেতে না দেয়া হয়। এই কাজটা যদি করা হয়, তাহলে তার আবেদন অনুযায়ী তিনি যে মনে করছেন, তাকে কিডন্যাপ করা হবে, তা আর হবে না। তবে ২৪ অক্টোবর পিকে হালদার দেশে ফিরছেন না বলে দুদক ও অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়কে আইএলএফএসএল’র আইনজীবী ই-মেইল করে জানান।


আপনার মতামত লিখুন :

মন্তব্য করুন


ফেসবুকে আমরা