April 19, 2024, 5:02 am

পাওনা টাকার জন্য শিশু রাইসাকে অপহরণের পর হত্যা করে প্রতিবেশী

১৮ ডিসেম্বর ২০২০, বিন্দুবাংলা টিভি. কম, টাঙ্গাইল সংবাদদাতা:

পাওনা টাকা পাওয়ার জন্য তিন বছরের শিশু রাইসাকে অপহরণ করে প্রতিবেশি সুমা খান। পরে শিশুটি কান্নাকাটি শুরু করলে একপর্যায়ে মুখ চেপে ধরে গলায় ওড়না পেচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয় বলে আদালতে স্বীকার করেছেন সুমা খান।

বৃহস্পতিবার (১৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় টাঙ্গাইল চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুমন কুমার কর্মকারের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন সুমা খান (২২)। সুমা খান সখিপুর উপজেলার হাতিবান্ধা ইউনিয়নের হতেয়া কেরানিপাড়ার আরমানের স্ত্রী। তবে সুমার স্বামী আদালতে শিশুটিকে হত্যার দায় অস্বীকার করেছেন। পরে আদালত ওই দম্পতিকে টাঙ্গাইল কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

 

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সখিপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সিরাজুল ইসলাম এসব তথ্য জানান।

এর আগে গত সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) রাত ১১টার দিকে জেলার সখিপুর উপজেলার হাতিবান্ধা ইউনিয়নের হতেয়া কেরানিপাড়ার প্রবাসী রাজু খানের মেয়ে রাইসার বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

এ ঘটনায় মঙ্গলবার দুপুরে শিশুর মা লিপা আক্তার বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে সখিপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় পুলিশ প্রতিবেশী আরমান খান (৩৫) ও তার স্ত্রী সুমা খানকে (২২) মঙ্গলবার রাতে গ্রেফতার দেখায়।

আদালতে দেয়া জবানবন্দিতে সুমা খান বলেন, হত্যার শিকার রাইসার বাবা রাজু খানকে তিন-চার বছর আগে আরমান খানের কাছ থেকে দুই লাখ টাকা ধার করে ইরাকে চলে যান। পরে সেই টাকা দেই-দিচ্ছি করে ফেরত দেয়নি রাজু। পাওনা টাকা আদায়ে গত সোমবার বিকেলে রাইসাকে অপহরণ করে নিজেদের ঘরে আটকে রাখেন। পরে রাইসাকে না পেয়ে পরিবারের লোকজন ব্যাপক খোঁজাখুঁজি শুরু করে।

তখন আরমানও অন্যদের সঙ্গে রাইসাকে খুঁজতে বের হন। রাইসা কান্নাকাটি শুরু করলে সুমা খান শিশুটির মুখ চেপে ধরেন এবং গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। পরে মরদেহ বস্তায় ভরে ফেলেন। তবে বাড়ির চারপাশে মানুষের আনাগোনা থাকায় বস্তাটি কোথাও লুকাতে পারেননি তিনি।


আপনার মতামত লিখুন :

মন্তব্য করুন


ফেসবুকে আমরা