April 19, 2024, 8:58 am

শাহানাজের স্কুটি চুরি: জনির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

১৫ নভেম্বর ২০২০, বিন্দুবাংলা টিভি. কম, ডেস্ক রিপোর্টঃ

দুই বছর আগে শাহানাজ আক্তারের স্কুটি চুরি হয়। এ ঘটনায় করা মামলায় চার্জ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছেন আদালত।  গত ২১ অক্টোবর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর চার্জ গঠনের আদেশ দিয়ে আগামী ২১ ডিসেম্বর সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ ধার্য করেছেন।

এদিকে, মামলার একমাত্র আসামি জোবায়দুল ইসলাম এডমন ওরফে জনি জামিনে ছিলেন।  কিন্তু চার্জ গঠনের দিন আদালতে হাজির না হওয়ায় আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন। সংশ্লিষ্ট আদালতের অ্যাডিশনাল পাবলিক প্রসিকিউটর এস কে তরফদার অপু বলেন, এটি একটি আলোচিত মামলা। মামলার বিচার শুরু হয়ে গেছে। আমরা রাষ্ট্রপক্ষ থেকে সাক্ষী হাজির করে মামলার বিচার দ্রুত শেষ করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো।

আসামিপক্ষের আইনজীবী এস এম ফয়জুর রহমান (কাওসার) বলেন, ভুল বোঝাবুঝির কারণে মামলা হয়েছে। গত ২১ অক্টোবর আদালত মামলার চার্জ গঠন করেন। আসামি আদালতে উপস্থিত হতে না পারায় চার্জ শুনানি পেছানোর আবেদন করেছিলাম। কিন্তু আদালত সময় আবেদন নামঞ্জুর  করে চার্জ গঠনের আদেশ দেন। আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।  জামিন যেন বহাল থাকে সেই চেষ্টা করবো।

শাহানাজ আক্তার পুতুল বলেন, পড়ালেখা শেষে সংসার জীবনে প্রবেশের পর নানা ঘাত-প্রতিঘাতে কোনো রকমে চলে যাচ্ছিল।  সংসার, মেয়েদের পড়াশোনার খরচ জোগাতে এবং একটু ভাল থাকতে স্কুটি চালানো শুরু করি। বোনদের কাছ থেকে টাকা ঋণ ও নিজের কিছু জমানো টাকা দিয়ে এবং ধার-দেনা করে এক লাখ ৫৮ হাজার টাকা দিয়ে স্কুটি কিনি। ভালই চলছিল। হঠাৎ করে প্রতারণার শিকার হলাম, একজনকে বিশ্বাস করে। জনি আমার স্কুটি চুরি করে নিয়ে যায়। পরে অবশ্য সাংবাদিক, পুলিশের সহযোগিতায় স্কুটি ফিরে পেলাম।

বর্তমানে নাভানা গ্রুপে ফুড ডেলিভারির কাজ করছেন শাহনাজ। তিনি বলেন, লকডাউনের সময় অনেক সমস্যায় ছিলাম। লকডাউনের মধ্যেই নাভানা গ্রুপ আমাকে সহায়তায় এগিয়ে আসে। তারা আমাকে একটি চাকরির কথা বলে। লকডাউন শেষে সেখানে কাজ করছি।

স্কুটি চুরির ঘটনায় করা মামলা সম্পর্কে শাহানাজ বলেন, জনি অপরাধ করেছে। অবশ্যই তার সাজা হওয়া উচিত। তার সাজা হলে আর কেউ কোনো অসহায়ের ক্ষতি করার চিন্তা করতে পারবে না।

স্কুটি চুরির ঘটনায় শাহানাজ ২০১৯ সালের ১৬ জানুয়ারি শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করেন।মামলা তদন্ত করে শেরেবাংলা নগর থানার এসআই (নিরস্ত্র) শফিকুল ইসলাম জনিকে অভিযুক্ত করে গত বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।


আপনার মতামত লিখুন :

মন্তব্য করুন


ফেসবুকে আমরা