April 16, 2024, 9:35 am
সর্বশেষ:
মেঘনায় বর্ণাঢ্য আয়োজনে বাংলা নববর্ষ উদযাপিত মেঘনায় কাঁঠালিয়া প্রজন্ম সামাজিক সংস্থার ঈদ সামগ্রী বিতরণ মেঘনায় বিনোদন কেন্দ্র না থাকায় ঈদ আনন্দে ভাটা, নিরসন জরুরি এততান কিরতি আনছত, ঘরে আছেনা! মেঘনায় গণ ও যুব অধিকারের ইফতার বিতরণ রাস্তা ও ড্রেন নির্মাণ কাজে নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার ফতেহাবাদ ইউনিয়ন আওয়ামী মৎসজীবী লীগ : খোকন সভাপতি শরীফ হোসেন সম্পাদক মেঘনায় দোকানে আগুনের ঘটনায় বাবাসহ দুই ছেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রথম বারের মত শতভাগ অনলাইনে মনোনয়ন ফরম জমা দিবে প্রার্থীরা : মো.মুনীর হোসাইন খান রিটার্নিংকর্মকর্তার সাথে আচরণ বিধির মতবিনিময়ের পরেই এক প্রার্থী অপর প্রার্থীকে হুমকির অভিযোগ 

‘বিশ্বস্ত বন্ধুদের সহায়তায় আকবরকে গ্রেপ্তার`

০৯ নভেম্বর ২০২০, বিন্দুবাংলা টিভি. কম, ডেস্ক রিপোর্ট

‘বিশ্বস্ত বন্ধুদের’ সহায়তায় সাময়িক বরখাস্তকৃত পুলিশের এসআই আকবর হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিলেটের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন।

আজ সোমবার (৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় নিজ কার্যালয় প্রাঙ্গণে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন তিনি। এর আগে সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে জেলার কানাইঘাট থানা থেকে পুলিশ পাহারায় আকবরকে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়।

সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে পুলিশের সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি মফিজ উদ্দিন আহমদ সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে দুপুরে কানাইঘাট উপজেলার ভারত সীমান্ত থেকে আকবরকে গ্রেপ্তার করা হয়। বিকেল ৪টা ১০মিনিটে কানাইঘাট থানা থেকে কড়া নিরাপত্তায় পুলিশের একটি দল তাকে নিয়ে সিলেটের উদ্দেশে রওনা হয়।

গত ১১ অক্টোবর বন্দর বাজার ফাঁড়িতে ধরে নিয়ে টাকার জন্য রায়হান আহমেদকে (৩৩) নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে। পরে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় সিলেট কোতয়ালি থানায় অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে মামলা করেন রায়হানের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার তান্নি। মামলায় ফাঁড়ির পুলিশের বিরুদ্ধে তার স্বামীকে নির্যাতন করে মেরে ফেলার অভিযোগ করেন তিনি। এরপর থেকে আকবর হোসেন গা-ঢাকা দেন। পরে পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে রায়হানের মৃত‌্যুর ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ। পুলিশ হেফাজতে রায়হানকে নির্যাতন ও মৃত্যুর প্রাথমিক সত্যতা পায় ওই কমিটি।

ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার বলেন, ‘পুলিশের কাছে খবর ছিল রোববার কানাইঘাট সীমান্ত দিয়ে আকবর বিদেশে পালাতে পারেন। এর জন্য আগে থেকেই সীমান্তবর্তী থানার অফিসার ইনচার্জদের দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। এর অংশ হিসেবে আকবরকে সাদা পোশাকধারী পুলিশ গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।’

বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষা বাহিনী (বিজিবি) আকবরকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেনি বলে দাবি করেন পুলিশ সুপার। তবে তাদের ‘বিশ্বস্ত কিছু বন্ধু’ আকবরকে গ্রেপ্তারে সহযোগিতা করেছেন বলে উল্লেখ করেন তিনি।

এ সময় প্রশ্নের জবাবে পুলিশ সুপার বলেন, ‘আকবরকে পালাতে কেউ যদি সহযোগিতা করে থাকেন, তাকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। পিবিআই সেই লক্ষ্যে কাজ করছে। আশা করি সেটি ফাইন্ড আউট করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।’

কিছুক্ষণের মধ্যে আকবরকে পিবিআইয়ের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানান ফরিদ উদ্দিন। পিবিআই (পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন) এই মামলার তদন্ত করছে।

আকবরকে আটকের কিছু ভিডিওচিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। তাতে দেখা যায়- একদল যুবক আকবরের হাত-পা বেঁধে পাহাড়ি ছড়া দিয়ে হাঁটিয়ে নিয়ে আসছেন। তখন ওই যুবকরা আকবরকে বিভিন্ন প্রশ্নও করছেন।

এ প্রসঙ্গে পুলিশ সুপারকে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা। জবাবে তিনি বলেন, ‘একটি ভিডিও ছড়িয়েছে বলে শুনেছি। তবে সেটি এখনও আমি দেখিনি। আমরা বাংলাদেশের সীমান্ত থেকেই পুলিশের স্থানীয় কিছু বন্ধুদের সহযোগিতায় আকবরকে গ্রেপ্তার করেছি।’

এদিকে, রাতেই আকবরকে পিবিআইয়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

মন্তব্য করুন


ফেসবুকে আমরা