March 29, 2024, 6:46 am

নখের আঁচড়ে ধরা পড়া সেই খুনির দোষ স্বীকার

০৯ নভেম্বর ২০২০, বিন্দুবাংলা টিভি. কম, ডেস্ক রিপোর্ট

মুখে নখের আঁচড় দেখে চিহ্নিত রাজধানীর দক্ষিণখান এলাকা থেকে তামান্না ময়না (১৩) নামে গৃহকর্মীকে শ্বাসরোধে হত্যা করা সেই খুনি মোহন আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে।

সোমবার (৯ নভেম্বর) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দক্ষিণখান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রেজিনা আক্তার আসামিকে আদালতে হাজির করেন। আসামি স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।

আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারাফুজ্জামান আনছারী তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

দক্ষিণখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামীম শিকদার বলেন, ৮ নভেম্বর সকালে উত্তরা দক্ষিণখান এলাকার তালতলা নর্দাপাড়ার রূপালি গার্ডেনের একটি সাততলা ভবন থেকে গৃহকর্মীর লাশ ডোবাতে ফেলানো হয়। পুলিশ খবর পেয়ে সকাল ৮টার দিকে ডোবা থেকে লাশ উদ্ধার করে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। এরপর পুলিশ তদন্ত শুরু করে।

তদন্তের বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, প্রথমে আমরা পাশের বাড়ির ছাদের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করি। এতে দেখা যায়, সাত তলা ভবনের ছাদ থেকে একজন দুই হাতে কিছু একটা তুলে নিচে ফেলে দিচ্ছেন। এরপর পুলিশ বাড়ির বেশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। বাড়িটির নিচতলায় উপস্থিত একজন বাদে সবাই ছিল মাস্কবিহীন। শুধু মোহন নামে একজনের মুখে মাস্ক ছিল। পুলিশ তাকে সন্দেহ করে। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে তিনি মাস্ক খুলেন। তার মুখে নখের তিনটি আঁচড় দেখে পুলিশ মোটামুটি নিশ্চিত হয়, মোহনই খুনি। নখের আঁচড়ের স্থানে তখনও রক্ত জমাট ছিল। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে ময়নাকে হত্যার কথা স্বীকার করেন মোহন। তার বাড়ি গাইবান্ধায়।

নিহত তামান্না ময়না রূপালি গার্ডেনের একটি সাততলা ভবনের তৃতীয় তলার বাসিন্দা রুবিনা ইয়াসমিনের বাসায় গৃহকর্মীর কাজ করতেন। তার বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়।

পুলিশ জানায়, ওই বাড়ির দারোয়ান মোহনের দায়িত্ব প্রতিদিন সকালে বাড়ির ছাদের ট্যাঙ্কে পানি আছে কি না তা দেখা। রোববার সকাল পৌনে ৭টার দিকে মেয়েটি ছাদে যায় গাছে পানি দিতে এবং মোহন যায় ট্যাঙ্কের পানি দেখতে। ছাদে ময়নাকে একা পেয়ে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে মোহন। এ সময় দু’জনের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে ছাদে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে ময়নাকে সে হত্যা করে। এরপর লাশ দু’হাতে তুলে পাশের ডোবায় ফেলে দেয়। মোহন ছাদ থেকে নেমে অন্য দারোয়ানকে জানায়, তার শরীর ভালো লাগছে না। পরে বাসায় চলে যায়। কিছুক্ষণ পর ফিরে আসে মুখে মাস্ক পরে।


আপনার মতামত লিখুন :

মন্তব্য করুন


ফেসবুকে আমরা