March 29, 2024, 10:17 am

তিতাসে আওয়ামিলীগ নেতাকে পেটালেন ইউপি চেয়ারম্যানের বাহিনী: বাসভবনে অবরুদ্ধ করে রাখার ছবি ভাইরাল

২৪ আগষ্ট ২০২০ বিন্দুবাংলা টিভি. কম, আলমগীর সরকার, তিতাস (কুমিল্লা) প্রতিনিধি : কুমিল্লার তিতাস উপজেলা আওয়ামীলীগের প্রচার সম্পাদক মো. জাকির মুন্সিকে সামাজিক অনুষ্ঠান থেকে তুলে নিয়ে মারধর করার পর স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের বাসভবনে আটক করে রাখার ছবি সামাজি যোগাযোগ মাধ্যম ভাইরাল। রোববার সকাল থেকে ছবিটি ভাইরাল হয়ে আসছে। ফেসবুকে ভাইরালকৃত ছবি দেখে উপজেলা আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের মাঝে নিন্দার ঝর উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার বিকালে উপজেলার ভিটিকান্দি ইউনিয়নে। পরে ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হোসেন মোল্লা রাত আনুমানিক সাড়ে ৭টায় জাকির হোসেন মুন্সিকে থানায় নিয়ে পুলিশের নিকট সর্পোদ করেছে। জানা যায় শুক্রবার বাদজুম্মা উপজেলার নারায়নপুর হানিফ সরকারের বাড়িতে সুন্নতে খৎ’না অনুষ্ঠানে বেড়াতে যায় জাকির ওই অনুষ্ঠানে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবু মোল্লার ছেলে জহির ও দাওয়াতি ছিলেন,খানা শেষে চেয়ারম্যানের ছেলে জহির,জাকিরের নিকট টাকা পাওনা আছে বলে তার দলবল নিয়ে জোর পূর্বক জাকিরকে তুলে নিয়ে যায় মানিককান্দি চেয়ারম্যানের বাড়িতে নিয়ে জাকিরকে বেদম মারধর করে ফ্লোরে বসিয়ে রেখে চতুর পাশে চেয়ার‍্যানের ছেলে জহির বাহিনী গিরে রাখে জাকিরকে,যা ছবিতে দৃশ্যমান। এদিকে এবিষয়ে উপজেলা আওয়ামীলীগের প্রচার সম্পাদক জাকির মুন্সি বলেন আমার নিকট যেই টাকা পাওনা ছিল,তা আমি দিয়ে দিছি। ১৫ আগষ্ট জাতীয় শোক দিবস অনুষ্ঠান করায় আমার প্রতি ঈর্ষানিত হয়ে এবং গত ইউপি নির্বাচনে আমি প্রার্থী হওয়ায় আবু মোল্লার নাকি আড়াই কোটি টাকা খরচ হয়েছে এমন অপবাদ দিয়ে আমাকে মারধর করেছে এবং আবু মোল্লা বলেছে আমি যাতে আর প্রার্থী হতে না পারি আমার হাড্ডি গুড্ডি ভেঙ্গে ফেলবে। এবিষয়ে চেয়ারম্যান আবুল হোসেন মোল্লার নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি জাকিরের নিকট ২৯ লাখ টাকা পাইতাম,২০১৪ সালে মহসি ভূইয়া,মজিব মুন্সি,সোহেল সিকদারসহ আরো অনেকে বিচার করে ৫লাখ ১০হাজার টাকা কমিয়ে ২৪লাখ ৪০ হাজার টাকা দিবে সিদ্ধান্ত দেয়,এখনো আরো ৪ লাখ ৪০ হাজার টাকা পাই,ওই দিন আমার ছেলে জহির পাওনা টাকা চাইলে জাকির আমার ছলেকে গালমন্দ করলে আমি গ্রাম পুলিশ দিয়ে জাকিরকে আমার বাড়িতে নিয়ে আসি। তাকে মারধর করেছে এটা সম্পূর্ন মিথ্যা,পরে রাত আনুমানিক সাড়ে ৭ টায় আমি জাকিরকে থানায় নিয়ে যাই,জাকির শনিবারে বিচারে বসবে বলে ওসি সাহেবের এই কথা বলে চলে গিয়ে শনিবারে আর আসেনি। এবিষয়ে ওসি সৈয়দ আহসানুল ইসলামের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন এলাকায় গিয়ে খবর নেন,আমার কাছে কোন অভিযোগ নেই।


আপনার মতামত লিখুন :

মন্তব্য করুন


ফেসবুকে আমরা