April 20, 2024, 12:16 pm

পরিস্থিতির অবনতি হলে কঠিন সিদ্ধান্ত নেবে সরকার: কাদের

১ জুন ২০২০,বিন্দুবাংলা টিভি. কম, নিজস্ব প্রতিবেদক :

জনগণের অসচেতনতা ও স্বাস্থ্যবিধি না মানায় পরিস্থিতি অবনতি হলে সরকার আরও কঠোর হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

সংকট সমাধানে সরকার দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে জানিয়ে তিনি বলেছেন, হুড়োহুড়ি, বাড়তি যাত্রী হওয়া, স্বাস্থ্যবিধি না মানা দেশকে আরও সংকটে নিমজ্জিত করতে পারে। পরিস্থিতির যদি আরও অবনতি হয়, তাহলে জনস্বার্থে সরকার আবারও কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হবে।সোমবার (১ জুন) জাতীয় সংসদ ভবনের নিজের সরকারি বাসভবন থেকে সেতু বিভাগের কর্মকর্তা কর্মচারীদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা উদ্বেগজনক পর্যায়ে থাকলেও লকডাউন শিথিল করছে। কোথাও কোথাও তুলে নিয়েছে। জীবনের পাশাপাশি জীবিকা দীর্ঘমেয়াদে বন্ধ থাকলে জীবনের গতিপথে থেমে আসবে স্তব্ধতা। অর্থনীতিও হয়ে পড়বে স্থবির। পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদের ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থান বেছে নিতে হবে।গণপরিবহন চালু ও ভাড়া বাড়ানোর বিষয়ে তিনি বলেন, অতিরিক্ত যাত্রী না হতে সাধারণ মানুষকে অনুরোধ জানাচ্ছি। এ ছাড়া পরিবহনমালিক ও শ্রমিকদের মানবিক দৃষ্টান্ত স্থাপনের অনুরোধ করেছেন।

মন্ত্রী কাদের বলেন, অর্ধেক আসন খালি রেখে গাড়ি চালনায় সরকার ভাড়া সমন্বয় করেছে।করোনা সংক্রমণ রোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অর্ধেক আসন খালি রেখে গাড়ি চালানো শুরু হয়েছে। সরকার বাস্তবতার প্রয়োজনে ভাড়া সমন্বয় করেছে এবং আজ থেকে শর্ত সাপেক্ষে গণপরিবহন চলছে। আমি মালিকদের স্বাস্থ্যবিধি ও শর্ত মেনে গাড়ি চালানোয় অনুরোধ করছি।পাশাপাশি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ ভিজিল্যান্স টিম, মোবাইল কোর্টসহ টার্মিনাল কর্তৃপক্ষকে অর্ধেক আসন খালি রাখা ও বর্ধিত ৬০ শতাংশ ভাড়া ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা এবং মাস্ক পরার বিষয় তদারকি করার আহ্বান জানাচ্ছি।

করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় সরকারের পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে ওবায়দুল কাদের বলেন, সংকটের শুরু থেকে সরকার সব দপ্তর ও সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে সংক্রমণ রোধ, আক্রান্তদের চিকিৎসা, টেস্টিং ক্যাপাসিটি বাড়ানোসহ ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। আকষ্মিক এ সংকট মোকাবিলায় বিশ্বের উন্নত দেশগুলোও আজ হিমশিম খাচ্ছে। আমরা সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও দিনদিন সংকট সমাধানের সক্ষমতা বাড়িয়েছি। গড়ে তোলা হয়েছে সুসমন্বয়। কেন্দ্র থেকে উপজেলা পর্যন্ত চিকিৎসা নেটওয়ার্ক সমন্বয় করাসহ সচেতনতা তৈরিতে দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে সরকার। খাদ্য সহায়তা, আর্থিক সহায়তাসহ নানা উদ্যোগের ফলে আল্লাহর রহমতে এখন পর্যন্ত মানুষ না খেয়ে মরেনি।বিশ্বব্যাপী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের সংকট সমাধানের সাহসী ও মানবিক প্রয়াস প্রশংসিত হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিএনপি খুঁজে পাচ্ছে সমন্বয়হীনতা। নিজেরা অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে নির্লজ্জভাবে ব্যর্থ হয়ে দায়িত্বহীন বক্তব্য রাখছে। আমি সংকটে তাদের দায়িত্বশীল রাজনৈতিক ভূমিকা পালনের আহ্বান জানাচ্ছি। আন্দোলন সংগ্রাম আর নির্বাচনে ব্যর্থতার গ্লানি নিয়ে বিএনপি জনগণের কাছে যেতে ভয় পায়। তাই জনগণ থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে গণমাধ্যমে চর্বিত চর্বন করছে।


আপনার মতামত লিখুন :

মন্তব্য করুন


ফেসবুকে আমরা