April 26, 2024, 4:29 am

আজ চৌধুরী এ, বি, এম কায়সার আহমেদ এর ১২ তম মৃত্যুবার্ষিকী।

১৬ জুন ২০২০, বিন্দুবাংলা টিভি. কম, এম এইচ বিপ্লব সিকদার : বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের প্রতিষ্ঠাতা ভাইস প্রেসিডেন্ট, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা আহবায়ক কমিটির সদস্য, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা বিশিষ্ট আওয়ামিলীগ নেতা চৌধুরী এ, বি,এম কায়সার আহমেদ (৬৫)এর ১২ তম মৃত্যুবার্ষিকী। তিনি ২০০৮ সালের ১৬ জুন সোমবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান (ইন্নালিল্লাহি -রাজিউন)।কিডনি সহ জটিল রোগে আক্রান্ত ছিলেন। মৃত্যুকালে স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে সহ অসংখ্য আত্মীয় স্বজন ও গুনগ্রাহী রেখে যান। রাস্ট্রীয় মর্যাদা সহ জানাজা শেষে শহিদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করা হয়। দিবস টি উপলক্ষে পরিবারের পক্ষ থেকে বিশেষ দোয়ার আয়োজন করা হয়। যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা কায়সার আহমেদের সংক্ষিপ্ত জীবনী সম্পর্কে তার এক মাত্র ছেলে লন্ডন প্রবাসী চৌধুরী মাসুদ কায়সার সূত্রে জানা যায় শিক্ষা জীবনে জগন্নাথ কলেজে এইচ এস সি ও ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয় থেকে এম এ পাশ করেন। তিনি ৬০ এর দশকে ছাত্র অভ্যুত্থান, ৬৯ এর গন অভ্যুত্থানে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একজন ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক সহচর ছিলেন। ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে ভারতে চলে যান। ভারতীয় সেনাবাহিনীর অধীনে সি এন সি, কমান্ডেন্ট ট্রেনিং করেন। তিনি ট্রেনিং নিয়ে সেখানে মুক্তিযোদ্ধাদের ট্রেনিং করাতেন। পরে এফ, এফ, স্পেশাল ফোর্স নিয়ে দেশে এসে কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলায় অবস্থান নেয়। যুদ্ধকালীন সময়ে তার অন্যতম অভিযান কাঠালিয়া – গোমতী নদীতে পাক বাহীনীর গান বোট ঢুকতে চাইলে গোমতি নদীর পাড়ে কায়সার আহমেদের নেতৃত্বে এফ, এফ স্পেশাল ফোর্স নিয়ে বাংকার করে সেই পাক বাহিনীর গান বোট গুলো গুলি বিনিময় করে ধ্বংস করে এবং পাক বাহিনী পিছনে হটতে বাধ্য হয়। তিনি দাউদকান্দি অঞ্চল কে মুক্ত অঞ্চল ঘোষনা করেন। এ ছাড়া এই সাহসী যোদ্ধা নাঃ গঞ্জের সোনার গাওয়ের কাচ পুর এলাকায় তার নেতৃত্বে এফ, এফ, স্পেশাল ফোর্স , ভারতীয় মিত্র বাহিনী, জেনারেল সাকসেনার যৌথ বাহিনীর সমরে সম্মুখ যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন এবং সেই অপারেশন তিনি পাক বাহিনী হাতে গুলিবিদ্ধ করলে গুরতর আহত হন। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৩ – ৪ মাস চিকিৎসা নেন। বঙ্গবন্ধুর সহচর হিসেবে তিনি যথেষ্ট ভুমিকা পালন করেছেন এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো বঙ্গবন্ধু কর্তৃক স্বাধীনতা ঘোষণা পত্রের অন্যতম প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন কায়সার আহমেদ। এই সাহসী কৃতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা দেশ স্বাধীনের পর বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে শেখ মনির নেতৃত্বে আওয়ামী যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা আহবায়ক কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন। এর মধ্যে আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, ছিলেন অন্যতম। কায়সার আহমেদ বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের প্রতিষ্ঠাতা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। প্রয়াত যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা চৌধুরী এ, বি, এম কায়সার আহমেদ ৮০ দশকের প্রথম দিকে দুই বছর জার্মান থেকে হাতের চিকিৎসা নেন। স্বাধীনতার পর তৎকালীন কুমিল্লা -১ ( হোমনা – দাউদকান্দি) আসনে তিনবার জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। কায়সার আহমেদ সাবেক দাউদকান্দি উপজেলা, বর্তমান মেঘনা উপজেলার দড়িকান্দি গ্রামের এক সম্ভান্ত্র মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহন করেন। জীবদ্দশায় তিনি একজন পরোপকারী বিশিষ্ট সমাজ সেবক হিসেবে পরিচিত ছিলেন। এই বীরের মৃত্যুবার্ষিকীতে তার ছেলে চৌধুরী মাসুদ কায়সার দেশবাসীর নিকট দোয়া চেয়েছেন।


আপনার মতামত লিখুন :

মন্তব্য করুন


ফেসবুকে আমরা