April 20, 2024, 7:40 am

“বিআরজেএ”র ‘বিবৃতি :একের পর এক সংবাদপত্রের প্রকাশণা বন্ধে উদ্বেগ, অবিলম্বে বেতন-ভাতা প্রদানের আহবান

১২ এপ্রিল ২০২০, বিন্দুবাংলা টিভি. কম, ডেস্ক রিপোর্ট :
করোনা ভাইরাসজনিত দুর্যোগের মধ্যে সংবাদকর্মীদের বেতন ভাতা পরিশোধে টালবাহানা এবং পাওনা পরিশোধ না করেই একের পর এক সংবাদত্রের মূদ্রণ সংস্করণ বন্ধে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক এসোসিয়েশন (বিআরজেএ) নেতৃবৃন্দ। অবিলম্বে সাংবাদিকদের আর্থিক ও পেশাগত সুরক্ষা নিশ্চিত করার দাবি জানান নেতৃবৃন্দ।

বিআরজেএ, চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন ইবনে মঈন চৌধুরী ও মহাসচিব মুহাম্মদ আবু হানিফ এক বিবৃতিতে গভীর উৎকন্ঠা ও ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, করোনা ভাইরাসের বৈশ্বিক সংকটে বাংলাদেশেই কেবল সাংবাদিক ও গণমাধ্যম কর্মীরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় পড়েছেন। এ নিরাপত্তাহীনতা শুধু স্বাস্থ্যগত বা জীবনের নয়, বরং আর্থিক নিরাপত্তাহীনতা সংবাদকর্মীদের ব্যাপকভাবে গ্রাস করে চলেছে। এরই মধ্যে জাতীয় পর্যায়ের অন্তত ৮টি দৈনিকের মূদ্রণ সংস্করণ মালিকপক্ষ একতরফাভাবে বন্ধ করে দিয়েছেন। রাজধানীর বাইরে বিভাগীয় ও জেলা শহরেও শত শত সংবাদপত্রের প্রকাশনা স্থগিত করা হয়েছে। বন্ধের সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে সংবাদকর্মীদের সম্পৃক্ত করা হয়নি। তাদের সঙ্গে কোনরূপ আলোচনা করা হয়নি। বেশীরভাগ ক্ষেত্রে কর্মীদের চলতি ও বকেয়া পাওনার সুরাহা না করেই কয়েক লাইনের নোটিশে দরজা বন্ধে করে দেওয়া হয়েছে, যা চরম অমানবিক ও বেআইনী।

বিবৃতিতে সাংবাদিক নেতারা বলেন, একাধিক দৈনিক তাদের প্রকাশণা বন্ধের ক্ষেত্রে সময়সীমা নির্ধারণ করেনি। পুনঃপ্রকাশের বিষয়ে কোন নির্দেশনাও নেই বন্ধের নোটিশে, যা দূরভিন্ধিমূলক বলে আমরা মনে করি। যেখানে সংবাদপত্র মালিকদের সংগঠন নোয়াব সংবাদপত্রের প্রকাশনা অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সেখানে সংবাদর্কীদের পাওনা পরিশোধ না করে মূদ্রণ সংস্করণ ও অফিস কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া অগ্রহণযোগ্য। দুর্যোগের মধ্যে মাত্র একমাস অতিক্রান্ত না হতেই সংবাদপত্র প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় অক্ষমতা কোন শুভলক্ষণ নয়। আর যৌক্তিক কারণে সাময়িক বন্ধ করতে হলে তা আইনানুযায়ীই করতে হবে। সংবাদপত্রের ডিক্লারেশন সংক্রান্ত আইনে এ বিষয়ে সুস্পষ্ট বিধান রয়েছে। কোন সংবাদপত্রের মূদ্রণ কতদিন বন্ধ রাখা যাবে এবং তার প্রক্রিয়া কি হবে তা মূদ্রণ ও প্রকাশণা আইনে পরিষ্কারভাবে বলে দেওয়া আছে। তারা বলেন, সুসময়ে সুবিধাভোগী মালিকদের কাছ থেকে সাংবাদকর্মীরা বাড়তি কোন সুবিধা পায়নি, তা হলে সাময়িক দুঃসময়ে সংবাদকর্মীরা বঞ্চিত ও ভূক্তভোগী হবে কোন যুক্তিতে।

সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে সাংবাদিকদের চলতি মাসের বেতনসহ সমূদয় বকেয়া পাওনা পরিশোধ করে প্রাতিষ্ঠানিক দায়বদ্ধতা ও মানবিকতার পরিচয় দেওয়ার জন্য গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানের মালিকদের প্রতি আহবান জানান।

বার্তা প্রেরক

মোঃ রফিকুল ইসলাম দুলাল প্রচার সম্পাদক ( বিআরজেএ)


আপনার মতামত লিখুন :

মন্তব্য করুন


ফেসবুকে আমরা