April 25, 2024, 5:37 am

বাড়ির মালিকের সন্ত্রাসী তান্ডবে সর্বশান্ত ক্লিনিক ব্যবসায়ী, জীবন বাচাতে পালিয়ে বেড়াচ্ছে

১৯ মার্চ ২০২০, বিন্দুবাংলা টিভি. কম,
শহিদুল ইসলাম কাজল, জামালপুর : জামালপুরে বাড়ির মালিকের সন্ত্রাসী তান্ডবের শিকার হয়ে এক ক্লিনিক ব্যবসায়ী সর্বশান্ত হয়ে জীবন বাচাতে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। পাচ্ছেন না কোন প্রতিকার। এমন টাই অভিযোগ করেছেন ক্লিনিক মালিক।
মামলা সুত্রে জানা যায়, জামালপুর শহরের নয়াপাড়া পাঁচরাস্তা মোড়ের জুলেখা জেনারেল হাসপাতাল লিমিটেডের মালিক মো. জাকিরুল ইসলাম দুখু একটি দোতলা বাড়ি ভাড়ার শর্তে প্রথমে ৬ লাখ টাকা ও পরবর্তীতে আরও ৫ লাখ ১২ হাজার ৪শ ৬৭ টাকার কাজ করে মোট ১১ লাখ ১২ হাজার ৪শ ৬৭ টাকা এককালীন ফেরৎযোগ্য জামানত দিয়ে মাসিক ৩০ হাজার টাকা ভাড়ায় ২৪ মে ২০১৫ইং তারিখ থেকে ১ মে ২০২৩ইং তারিখ পর্যন্ত একটি লিখিত বাড়িভাড়ার চুক্তিপত্র সম্পন্ন করে নয়াপাড়া পাঁচরাস্তা মোড়ের মৃত আবুল হাসেমের স্ত্রী মাহফুজা আখতারের সাথে। সে মোতাবেক ভাড়াটিয়া মো. জাকিরুল ইসলাম দুখু প্রায় ১ কোটি টাকার মেডিকেল সরঞ্জামাদি ক্রয় ও অন্যান্য ক্ষেত্রে আরও প্রায় ৫০লাখ টাকা বিনিয়োগ করে তার জুলেখা জেনারেল হাসপাতাল লিমিটেড গড়ে তোলে অত্যন্ত সুনাম ও নিষ্ঠার সাথে ক্লিনিক ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। এদিকে ২ বছর অতিক্রান্ত হতে না হতেই মাহফুজা আখতার তার ছেলে মাহবুবুল হাসান মাসুমকে দিয়ে গত ২৬ জুলাই ২০১৭ইং সালে জুলেখা জেনারেল হাসপাতাল লিমিটেডের প্রধান ফটকে তালা দিয়ে জোরপূর্বক ও বেআইনীভাবে বন্ধ করে দেয়। এনিয়ে অনেক আকুতি মিনতির পরও মো. জাকিরুল ইসলামের প্রতি কোন ভ্রূক্ষেপ না করলে সে বাধ্য হয়ে বিজ্ঞ আমলী আদালত জামালপুর সদরে মাহফুজা আখতার ও তার ছেলে মাহবুবুল হাসান মাসুমকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করে। যার নম্বর ১১৭(১)২০১৮। সম্প্রতি আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে পেনাল কোড-১৮৬০ এর ৪০৬/১০৯ ধারায়ী আনীত মো. জাকিরুল ইসলামের অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় ১ বছর সশ্রম কারান্দন্ড প্রদান করে। এদিকে তারা জামিনে বেরিয়ে এসে মো. জাকিরুল ইসলামের পিতাকে অপহরণ করে পরে অপহরণ মামলা হওয়ার খবর পেয়ে ছেড়ে দেয়।
জাকিরুল ইসলাম দুখু বলেন, ভাড়াটে সন্ত্রাসী দিয়ে আদালতে প্রবেশে বারংবার বাধা দেওয়াসহ উপুর্যপরি প্রাণনাশের হুমকির ঘটনায় ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ইং তারিখে জামালপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করা হয়। যার নম্বর ৬৮২, তারিখ ১৪/২/২০২০ইং। তারপরও আসামিরা ভাড়াটে লোকজন দিয়ে তাকে বিভিন্ন মাধ্যমে হুমকি দেওয়া অব্যাহত রাখলে মো. জাকিরুল ইসলাম জামালপুর পুলিশ সুপারের দারস্থ হলে জামালপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নির্দেশে জামালপুর থানার এএসআই সাইফুলকে বিষয়টি দেখার জন্য দায়িত্ব দেয়া হয়। এদিকে মামলায় সাজা হলেও আসামিরা তাকে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভিড়তে দিচ্ছে না। বিরাট অঙ্কের অর্থনৈতিক ক্ষতির পাশাপাশি জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় এখন প্রাণভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। এছাড়াও আমার নামে মিথ্যা সংবাদ সম্মেলনও করেছে। সেখানে যে অভিযোগ করেছে সেটা ভিত্তিহীন।
মাহফুজা আক্তার বলেন, জকিরুল ইসলাম দুখু প্রতারনার মাধ্যমে ভূয়া হাসপাতালের কথা বলে বাড়ি ভাড়া নিয়ে ছিল। ঠিক ভাবে ভাড়া পরিশোধ না করাই আমরা তাকে বাড়ি ছেড়েদিতে বলি। অসামাজিক কার্যকলাপ বিষয়ে বাধা দিলে উল্টো আমার নামে মামলা দিয়ে হয়রানী করছে।


আপনার মতামত লিখুন :

মন্তব্য করুন


ফেসবুকে আমরা