April 25, 2024, 5:01 pm

মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রকল্পের জনবল রাজস্ব খাতে স্থানান্তর এখন সময়ের দাবি : আনিসুর রহমান জাফরী

১০ ফেব্রুয়ারি ২০২০, বিন্দুবাংলা টিভি. কম, আনিসুর রহমান জাফরী : মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের পরিবারের পাশে দাঁড়ান” মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রকল্পের জনবল রাজস্ব খাতে স্থানান্তর এখন সময়ের দাবি।
২৭ বছর ধরে চলমান এ প্রকল্পের জনবল বারবার হুমকির মুখে পড়ছে,কখনও যাচাই-বাছাইয়ের যাঁতাকলে পড়ে চাকরি হারানোর ভয় কখনওবা আউট সোর্সিং এ নিজেদের অস্তিত্ব বিলীন হওয়ার মতো আশংকা বুকে নিয়ে আশা-নিরাশার দোলাচলে দিনাতিপাত করছেন প্রকল্পে নিয়োজিত নিয়মিত জনবল।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর হাতে গড়া ইসলামিক ফাউন্ডেন কর্তৃক পরিচালিত মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রকল্পটি ৭ম পর্যায়ে নেয়ার জন্য আবেদন করা হলেও প্রকেল্পের জনবল নিয়োগে আউট সোর্সিং পদ্ধতি অবলম্বন করার খবরটি বেশ হতাশাগ্রস্ত করছে প্রকল্পে নিয়োজিত জনবলকে।

অপর দিকে একই ধরনের প্রকল্প বার বার হাতে না নিয়ে একে রাজস্বের আওতায় আনার সুপারিশ করেছে অর্থবিভাগ ও আইএমইডি, এমন খবরে কিছুটা হলেও আশার আলো দেখতে পাচ্ছেন তাঁরা।

ইসলামিক ফাউন্ডেশন সূত্রে জানা যায় প্রকল্পটি সরকারের বিশেষ বিবেচনায় বাস্তবায়িত হচ্ছে। এ প্রেক্ষাপটে ৭ম পর্যায়ে প্রকল্প অনুমোদনের পূর্ব পযর্ন্ত প্রকল্পের প্রধান কার্যালয়সহ জেলা ও উপজেলায় শিক্ষাকেন্দ্র, দারুল আরকাম মাদ্রাসা এবং রিসোর্স সেন্টারের কাযর্ক্রম চলমান রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে।

প্রকল্পটি জননন্দিত বৃহৎ প্রকল্প। এ প্রকল্পের আওতায় দেশের ৬৪টি জেলা, ৫০৫টি উপজেলা, থানা ও জোনে চলমান।
৩২ হাজার প্রাক-প্রাথমিক, ৪১ হাজার কুরআন শিক্ষা এবং ৭৬৮টি বয়স্ক কেন্দ্রসহ মোট ৭৩ হাজার ৭৬৮টি শিক্ষা কেন্দ্রের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা দেয়া হচ্ছে।

মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রকল্প ইসলামিক ফাউন্ডেশনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি বৃহৎ প্রকল্প। আর্থ সামাজিক উন্নয়নমূলক কার্যক্রম ও শিক্ষা বিস্তারের কাজে মসজিদের ইমাম সাহেবদের সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে সরকার ১৯৯৩ সালে মসজিদ ভিত্তিক শিক্ষা কার্যক্রমের আওতায় প্রাক-প্রাথমিক এবং ঝরেপড়া (ড্রপ-আউট) কিশোর-কিশোরী ও অক্ষরজ্ঞানহীন বয়স্কদের জন্য মসজিদভিত্তিক শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করে।
এ প্রকল্পের আওতায় এ কার্যক্রমের ইতোমধ্যে ৬টি পর্যায় শেষ করে এটিকে ৭ম পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। এ প্রকল্পে মসজিদের ইমামগণ মসজিদকেন্দ্রে শিশু ও বয়স্ক শিক্ষার্থীদেরকে বাংলা, গণিত, ইংরেজি, আরবি, নৈতিকতা ও মূল্যবোধসহ বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষা দান করছেন। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে সুবিধাবঞ্চিত স্থানে এ প্রকল্পের মাধ্যমে দেশে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা বিস্তার ও কোর্স সম্পন্নকারীদের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির হার বৃদ্ধির ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জিত হচ্ছে। এ প্রকল্পের সুবিধাভোগী অধিকাংশই সমাজের অবহেলিত, দরিদ্র ও নিরক্ষর জনগোষ্ঠি।

প্রায় শতভাগ সফলতা অর্জনকারী জনবান্ধব ও গণমুখি এ বৃহৎ প্রকল্পটি মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়নে যারা নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন তাঁদের ঐকান্তিক দাবি আসন্ন ‘মুজিব বর্ষে’ স্বাধীন বাংলার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত জনবলকে রাজস্ব খাতে স্থানান্তর করা যা এখন সময়ের দাবি।

এ বিষয়ে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়,পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় ও অর্থ মন্ত্রণালেয়ের মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়গণের সুদৃষ্টি কামনাসহ মাননীয় প্রধানমন্ত্রির ইতিবাচক নির্দেশনার অপেক্ষায় চাতক পাখির মতো অপেক্ষমাণ প্রকল্পে নিয়োজিত হতাশাগ্রস্ত জনবল।

আশা করা হচ্ছে অতি অল্প সময়ের মধ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রির সদয় নির্দেশনায় প্রকল্প ও প্রকল্পে নিয়োজিত জনবল আলোর মুখ দেখতে পাবে ইনশা-আল্লাহ।
মহান আল্লাহ এই প্রচেষ্টাকে কবুল করুন,আমিন।।


আপনার মতামত লিখুন :

মন্তব্য করুন


ফেসবুকে আমরা