March 28, 2024, 9:43 pm

জামালপুরের সাংবাদিক শেলু আকন্দের উপর হামলাকারী তুষার খান গ্রেফতার

২৩ ডিসেম্বর ২০১৯, বিন্দুবাংলা টিভি. কম,
স্টাফ রিপোর্টার,জামালপুরঃ জামালপুরে সাংবাদিক শেলু আকন্দের উপর হামলাকারী আরেক সন্ত্রাসী তুষার খানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রোববার গভীর রাতে জেলার দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার চিকাজানি এলাকা তার শ্বশুড়বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। সোমবার দুপুরে আদালতে সোপর্দ করা হলে বিজ্ঞ আদালত তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করেছেন।
একই মামলার আরেক আসামি পৌর কাউন্সিলর হাসানুজ্জামান খঁান রুনুর ছেলে জেলা ছাত্রলীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক রাকিব খানকে ১৯ ডিসেম্বর রাতে জামালপুর শহরের মুকন্দবাড়ি বোনের বাসা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সেও বর্তমানে জেলে রয়েছে। ঘটনার নির্দেশদাতা কাউন্সিলর রুনু খানকে রহস্যজনক কারণে গ্রেফতার করেনি পুলিশ। প্রভাবশালীদের আশ্রয়ে রয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
এদিকে হামলাকারীদের শাস্তিসহ সাতদফা দাবিতে টানা আন্দোলন চলছে। ১৯ ডিসেম্বর রাতে জামালপুর প্রেস ক্লাবে প্রতিবাদ সভা, ২০ ডিসেম্বর দুপুরে মেলান্দহ রিপোটার্র্স ইউনিটির মানববন্ধন, ২১ ডিসেম্বর শহরের দয়াময়ী রোডে মানববন্ধন এবং ২২ ডিসেম্বর ডিসি ও এসপির কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। জামালপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি হাফিজ রায়হান সাদা ও সাধারণ সম্পাদক লুৎফর রহমানের নেতৃত্বে প্রদত্ত স্মারকলিপিতে হাসানুজ্জামান খঁান রুনুকে কাউন্সিলর পদ থেকে অব্যাহতি, সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের স্ট্যাম্প ভেন্ডার সনদ বাতিল, ভুয়া জমা-খারিজে সম্পাদিত দলিল তদন্ত, অঢেল সম্পদের উৎসের তদন্ত ও সাংবাদিকদের পেশাগত নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি জানানো হয়েছে।
সূত্র জানায়, ২৮ মে পৌর কাউন্সিলর রুনু খঁান ও তার ছেলে জেলা ছাত্রলীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক রাকিব খান সাংবাদিক মোস্তফা মনজুকে মারধোর করে। এ মামলার সাক্ষী হওয়ায় সাংবাদিক শেলু আকন্দের উপর তারা ক্ষিপ্ত হয়। ১৮ ডিসেম্বর রাতে শেলু আকন্দ ডায়াবেটিসজনিত কারণে দেওয়ানপাড়া বাইপাস রোডে হাটতে বের হলে ছাত্রলীগ নেতা রাকিব খান, তুষার খান, স্বজন খান ও তুহিন খানসহ ১০/১২ জন সন্ত্রাসী অতর্কিতে তঁার উপর সন্ত্রাসী হামলা চালায়। এতে শেলু আকন্দের দুই পা ভেঙ্গে যায়।
জানা গেছে, পৌর কাউন্সিলর হাসানুজ্জামান খঁান রুনু পেশায় কসাই ছিল। এই হাসানুজ্জামান খঁান রুনু যৌবন কালে নানা অপকর্মের জন্য তার পৈত্রিক নিবাস কিশোরগঞ্জ থেকে বিতাড়িত হয়ে জামালপুরে আবাস গড়ে। সে জামায়াত পরিবারের লোক হলেও কৌশলে কয়েক বছর আগে জেলা আওয়ামী লীগে জায়গা করে নিয়ে ভুমি সন্ত্রাসী ও দস্যুতাসহ নানা অপকর্মের জোরে অল্পদিনেই আঙুল ফুলে কলাগাছ বনে গেছে। তার ছেলে রাকিব খান সাবেক ছাত্র শিবির নেতা হলেও বর্তমানে সে জেলা ছাত্রলীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক। পিতা-পুত্র মিলে গড়ে তোলেছে অঢেল অর্থ সম্পদের পাহাড়। পৌর শহরের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কমিটির দায়িত্ব পাওয়ায় রুনু খান প্রতিদিন ভূয়া বিল-ভাউচারে নগদ অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে।


আপনার মতামত লিখুন :

মন্তব্য করুন


ফেসবুকে আমরা