April 16, 2024, 4:24 am
সর্বশেষ:
মেঘনায় বর্ণাঢ্য আয়োজনে বাংলা নববর্ষ উদযাপিত মেঘনায় কাঁঠালিয়া প্রজন্ম সামাজিক সংস্থার ঈদ সামগ্রী বিতরণ মেঘনায় বিনোদন কেন্দ্র না থাকায় ঈদ আনন্দে ভাটা, নিরসন জরুরি এততান কিরতি আনছত, ঘরে আছেনা! মেঘনায় গণ ও যুব অধিকারের ইফতার বিতরণ রাস্তা ও ড্রেন নির্মাণ কাজে নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার ফতেহাবাদ ইউনিয়ন আওয়ামী মৎসজীবী লীগ : খোকন সভাপতি শরীফ হোসেন সম্পাদক মেঘনায় দোকানে আগুনের ঘটনায় বাবাসহ দুই ছেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রথম বারের মত শতভাগ অনলাইনে মনোনয়ন ফরম জমা দিবে প্রার্থীরা : মো.মুনীর হোসাইন খান রিটার্নিংকর্মকর্তার সাথে আচরণ বিধির মতবিনিময়ের পরেই এক প্রার্থী অপর প্রার্থীকে হুমকির অভিযোগ 

খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবস্থা গোপন করা হচ্ছে: ড্যাব

খন্দকার আলমগীর হোসাইন :
কারাবন্দি বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ হলেও তার চিকিৎসা নিয়ে পরিকল্পিতভাবে সত্য গোপন করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-ড্যাব।

বুধবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপিপন্থী চিকিৎসকদের এ সংগঠনের মহাসচিব অধ্যাপক ডা. আবদুস সালাম ব‌লেন, ‘খালেদা জিয়া হাইলি এক্টিভ ডিফরমিং, রিমেটয়েড আর্থ্রাইটিস, অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস, হাইপারটেনশনসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন। এ অবস্থায় তিনি জেলখানায় সঠিক চিকিৎসা না পাওয়ায় এবং স্বাভাবিক পরিবেশ না থাকায় ওই রোগ সংক্রান্ত বিভিন্ন জটিলতা দেখা দিয়েছে। আমরা মনে করি, ষড়যন্ত্রমূলকভাবে খালেদা জিয়াকে তিলে নিঃশেষ করার অপপ্রয়াসে তার স্বাস্থ্য নিয়ে অসত্য সংবাদ পরিবেশন করা হচ্ছে, যা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।’

লিখিত বক্তব্যে তি‌নি আরও বলেন, ‘একাধিক রোগে জটিলতার কারণে খালেদা জিয়ার হাত ও পায়ের ছোট জয়েন্টগুলোসহ বিভিন্ন জয়েন্ট ফুলে গেছে এবং তাতে তীব্র ব্যথা অনুভূত হচ্ছে। শুধু তাই নয়; জয়েন্টগুলো শক্ত এবং বাঁকা হতে চলেছে, যা অচিরেই স্থায়ী রুপ ধারণ করতে পারে। ফলে বেগম খালেদা জিয়া বর্তমানে অন্যের সাহায্য ছাড়া চলাফেরা, ওঠাবসা এমনকি হাতে খাবার পর্যন্ত খেতে পারছেন না।’

অধ্যাপক আবদুস সালাম বলেন, ‘সবাই জানেন খালেদা জিয়া চরম অসুস্থতায় ভুগছেন। আসলে তিনি ধীরে পঙ্গুত্বের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন। তার যথাযথ চিকিৎসা না দিলে এই অবস্থা স্থায়ী রুপ নিতে পারে। অথচ বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ সরকারের অশুভ ইশারায় জাতিকে বিভ্রান্ত করতে এবং খালেদা জিয়ার প্রাপ্য জামিন ভণ্ডুল করতে সত্য গোপন করছেন। ‘

‌তি‌নি ব‌লেন, ‘সংবাদ সম্মেলনে বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ পরস্পরবিরোধী বক্তব্য দিয়েছেন, যা খুবই দুঃখজনক। বিএসএমএমইউর পরিচালক বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়ার অসহযোগিতার কারণে চিকিত্সকেরা তার সঙ্গে দেখা করতে পারেন না, যা সর্বৈব মিথ্যা। আমাদের জানামতে খালেদা জিয়া সংশ্লিষ্ট চিকিত্সকদের কখনো বাধা প্রদান করেননি, বরং সবসময় সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। যা মেডিকেল বোর্ডের প্রধানের বক্তব্যে স্পষ্ট প্রতীয়মান হয়। তিনি জানান যে বেগম খালেদা জিয়া আমাদের সঙ্গে হাসিমুখে কথা বলেন এবং চিকিৎসা সংক্রান্ত যে কোনো প্রশ্নের উত্তর দেন স্বাছন্দে।’

ড্যাবের মহাসচিব বলেন, ‘এ কথা সবাই জানেন যে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়া গাড়ি থেকে নেমে নিজে পায়ে হেঁটে জেলখানায় প্রবেশ করেন। প্রথমবার যখন বিএসএমএমইউতে আসেন তখন গাড়ি থেকে নেমে নিজে লিফট পর্যন্ত হেঁটে যান। সময়ের পরিক্রমায় তিনি কেন আজকের অবস্থায় উপনীত হলেন সে প্রশ্ন জাতির কাছে। তিনি সুচিকিৎসা পেলে এমন অবস্থা হতো না। সুতরাং বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষের সংবাদ সম্মেলনের বক্তব্য সত্যের অপলাপ মাত্র।’

ডা. আবদুস সালাম বলেন, ‘খালেদা জিয়া ভীষণ অসুস্থ। তার যথাযথ চিকিৎসা না হলে যে কোনো সময় তার শারীরিক স্থায়ী পঙ্গুত্ব এবং ডায়াবেটিস ও হৃদরোগজনিত বড় সমস্যা হতে পারে। তবে এরকম পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে তার দায়ভার বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ, সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক ও সরকারকেই নিতে হবে। সুতরাং আমরা ড্যাবের পক্ষ থেকে জটিল পরিস্থিতি হওয়ার আগেই খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক দ্বারা তার সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করার দাবি জানাচ্ছি। তাকে জামিন দিয়ে মুক্ত পরিবেশে পছন্দ মতো হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়ার সুযোগ দেয়া হোক। অন্যথায় চিকিৎসক সমাজ বসে থাকবে না। তারা বাংলাদেশের আপামর জনসাধারণকে সঙ্গে নিয়ে খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলন গড়ে তুলবে।’

বিএন‌পিসম‌র্থিত চি‌কিৎসক‌দের সংগঠন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-ড্যাব এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।

এতে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএসএমএমইউর সাবেক প্রোভিসি অধ্যাপক ডা. এমএ মান্নান, ড্যাবের সাবেক আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, ড্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশিদ, ড্যাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি ডা. এমএ সেলিম, ড্যাব নেতা ডা. মাজহারুল ইসলাম দোলন, ডা. কাকন, ডা. জহিরুল ইসলাম শাকিল, ডা. এরফানুল হক সিদ্দিকী, ডা. শাহ মুহাম্মদ আমান উল্লাহ ও ডা. শেখ ফরহাদ প্রমুখ।


আপনার মতামত লিখুন :

মন্তব্য করুন


ফেসবুকে আমরা