April 19, 2024, 2:04 am

আইনি লড়াই শেষে নির্বাচন হতে যাচ্ছে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে।

২৪ অক্টোবর ২০১৯, বিন্দুবাংলা টিভি . কম, ডেস্ক রিপোর্ট :

 

আইনি লড়াই শেষে নির্বাচন হতে যাচ্ছে রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে।

আদালত ও স্কুল সূত্র জানায়, রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির নির্বাচনের ওপর দেয়া স্থগিতাদেশ বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) প্রত্যাহার করেছেন আদালত। এর ফলে আইনি বাধা কেটে শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার ঢাকার চতুর্থ সহকারী জজ নুসরাত সাহারা বীথি এ আদেশ দেন। একই বিচারক ত্রুটিপূর্ণ ভোটার তালিকার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় বুধবার নির্বাচনে স্থগিতাদেশ দিয়েছিলেন। গত ১৬ অক্টোবর ওই গভর্নিং বডির নির্বাচনের ভোটার সেলিনা হোসেন নামে এক অভিভাবক এ মামলা করেন। ওইদিন আদালত ত্রুটিপূর্ণ ভোটার তালিকা কেন বাতিল করা হবে না, এই মর্মে রুল জারি করেন। ওই মামলায় প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ ফাওজিয়া, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও স্কুলটির আহ্বায়ক কমিটির সভাপতি নাজমুল হক খান ও ওই নির্বাচনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার অতিরিক্ত ডেপুটি কমিশনার ফারজানা জামানকে বিবাদী করা হয়। বুধবার উভয় পক্ষের শুনানি শেষে নির্বাচনের ওপর স্থগিতাদেশ দেন আদালত। পরদিন বৃহস্পতিবার প্রত্যাহারের জন্য বিবাদী অধ্যক্ষ ফওজিয়ার পক্ষে অ্যাডভোকেট মলয় সাহা স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার চেয়ে আবেদন করে শুনানি করেন। অন্যদিকে বাদীপক্ষে ঢাকা বারের সাবেক সভাপতি মোখলেছুর রহমান বাদল ও অ্যাডভোকেট আমিনুর রহমান খান স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের বিরোধিতা করেন। বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে এ বিষয়ে শুনানি হয়। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক এ বিষয়ে পরে আদেশ দেয়ার কথা জানান। এরপর সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে বিচারক স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের আদেশ দেন। এই স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারে বিষয়ে বাদীর আইনজীবী আমিনুর রহমান খান বলেন, আইনে একজন অভিভাবকের একাধিক সন্তান পড়ালেখা করলেও একজন অভিভাবক একটি ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন। কিন্তু ভোটার তালিকায় একাধিক সন্তান পড়ালেখা করছে, এমন অনেক অভিভাবককে ডাবল ভোটার করা হয়েছে। যা বিবাদী পক্ষের আইনজীবী আদালতে স্বীকারও করেছেন। তারপরও কেন আদালত স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করলেন, আমাদের জানা নেই।

ওই মামলায় বলা হয়, ভিকারুননিসা নুন স্কুল অ্যান্ড কলেজ গভর্নিং বডির নির্বাচন ২৫ অক্টোবর। নির্বাচনে গত ২৬ আগষ্ট চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়। বাদীর ২টি সন্তান স্কুলে পড়ে। সে অনুযায়ী বাদী একজন ভোটার। নির্বাচনে মোট ভোটার ২২ হাজার ৯৫৪ জন। আইন অনুযায়ী কোনও অভিভাবকের একাধিক সন্তান প্রতিষ্ঠানটিতে পড়লেও তিনি একটি ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন। কিন্তু প্রকাশিত ভোটার তালিকায় প্রতিষ্ঠানটিতে একাধিক সন্তান পড়ালেখা করছে, এমন অনেক অভিভাবকের দুইবার করে ভোটার তালিকায় নাম এসেছে। অর্থাৎ ওই সকল ভোটার একাধিক ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন। যার সংখ্যা দুই হাজারের অধিক হতে পারে। অথচ বাদীর একাধিক সন্তান প্রতিষ্ঠানটিতে পড়ালেখা করলেও ভোটার তালিকায় তার নাম একবারই এসেছে।
সূত্র: জাগরণ।


আপনার মতামত লিখুন :

মন্তব্য করুন


ফেসবুকে আমরা