April 19, 2024, 11:37 pm

প্রয়াত স্পীকার হুমায়ুন রশিদ চৌধুরী মেঘনার প্রতিচ্ছবি।

১০ জুলাই ২০১৯, বিন্দুবাংলা টিভি. কম, এম এইচ বিপ্লব সিকদার : ইতিহাস বলে ইতিহাস বিকৃতি করা আমাদের কুলষিত  সমাজের  অপরাজনীতি। আমি তখন ছাত্র , আন্দোলন সংগ্রাম বুঝিনা তবে কিছু সভায় আসা যাওয়া করতাম নেতাদের বক্তব্য শুনতাম। নিজের কানে শুনা ও চোখে দেখা কিছু কথা আজ মনে পড়ে যায়।  তেমন গুছিয়ে হয়তোবা লিখতে পারবোনা তবে চেষ্টা চালাতে দোষ নেই।  ভোক্তভোগী চরাঞ্চলীয়  জনতার পরাধীনতার শৃঙখল থেকে বের হওয়ার আর্তনাদ আমি শুনেছি, চোখে দেখেছি তৎকালীন সময়ের নেতৃত্ব দান কারী কিছু  সিনিয়র নেতাদের। তখন আওয়ামীলীগের অবস্থান আর আজকের আওয়ামীলীগের  অবস্থান এক রকম ছিলোনা এই দ্বীপে।  আপামর জনতার দাবী ছিলো স্বাধীন উপজেলা হওয়ার।।  শ্বপ্ন দ্রষ্টা  শফিকুল আলমের নেতৃত্বে  উপজেলা  বাস্তবায়ন   কমিটির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব নেন বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সাইফুল্লাহ মিয়া রতন শিকদার, তিনি তৎকালীন সময়ের ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন এবং সংগঠক ছিলেন, ৪ টি ইউনিয়ন থেকে ৭ টি ইউনিয়ন করার সুবাদে শফিকুল আলম পরাধীনতার  শৃঙ্খল থেকে চরাঞ্চলীয় বাসীর মুক্তির ডাক দিয়েছেন। অনেক মুরুব্বিরা ছিলেন যারা পরোক্ষ সহায়তা করেছেন এই দ্বীপ মুক্তি ফৌজদের।  যার দয়া ও সদিচ্ছার কারনে দ্বীপ মুক্তি ফৌজদের আবেদনের  প্রেক্ষিতে  আপন মনে  অবদান রেখেছেন তিনি প্রয়াত স্পীকার হুমায়ুন রশিদ চৌধুরী ।  আজ তার ১৮ তম মৃত্যু বার্ষিকী শুধু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে    স্বরণ করে দায় এড়ানো যাবেনা। অন্তত এই মেঘনাবাসী চীর দিন তাকে আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে  স্বরন করা উচিত। উপজেলা হওয়ার কারনে আমরা সবাই আমাদের পরিচয় দেই আমরা মেঘনা বাসী একবার কি মনে পড়েনা যার জন্য পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে চরাঞ্চলীয় জনতার মুক্তি মিলেছে  আমরা দলমত নির্বিশেষে  তার উত্তর সূরী দের এনেও  সম্মান দেওয়া উচিৎ।  উপজেলা প্রতিষ্ঠাতা শফিকুল আলমের ওয়ালেই দেখি তার অবদানের  কৃতজ্ঞতার বানী। কেন? অবদান রেখেছেন  দলমত নির্বিশেষে অবদানের কৃতজ্ঞতা মেঘনা বাসীর করা উচিত না হয় আমরা অকৃতজ্ঞ জাতী হিসেবে চিহ্নিত হতে পারি। আমার কথা গুলো অনেকের নিকট খারাপ লাগতে পারে যেনেও বলছি , আসুন আমরা হীন মন্যতা থেকে বের হয়ে আসি, এমন কিছু করি যা দেখে মহান ব্যক্তির উত্তর সূরী রা ও আমাদের বাহ বাহ দেয়। এবং প্রয়াত স্পীকার হুমায়ুন রশিদ চৌধুরী র আত্মা শান্তি পায়। আজকে মাঠে আছেন এমন অনেক নেতাকে দেখি সেই পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে চরাঞ্চলীয় জনতার মুক্তি পেতে যে লোকটি অবদান রেখেছেন ততৎকালীন সময়ে চরাঞ্চলীয় বাসীর মাঝে আসতে বাধা দিতে কালো পতাকা মিছিল করার হুংকার ও দিয়েছেন যদি আমি ভূল না করে থাকি      ।  কারো খাটো করে বলছিনা সত্য উপস্থাপনের চেষ্টা করেছি ।  প্রতিষ্ঠাতা শফিকুল আলমের প্রতি শ্রদ্ধাশীল  হয়ে বলতে চাই  হুমায়ুন রশিদ চৌধুরী মেঘনা উপজেলার প্রতিচ্ছবি। আমি মেঘনার সন্তান হয়ে কৃতজ্ঞতা ও শ্রদ্ধা নিবেদন করছি প্রয়াত স্পীকার হুমায়ুন রশিদ চৌধুরী ও তার পরিবারের প্রতি।  আল্লাহ আপনাকে জান্নাত বাসী করুন । আমিন। লেখক , সাংবাদিক।

 

 

 

 


আপনার মতামত লিখুন :

মন্তব্য করুন


ফেসবুকে আমরা