অপরাধ

নাসিরনগরের প্রতারণার মামলায় লিটন এখন জেলে

১৭ জুলাই ২০১৯, বিন্দুবাংলা টিভি. কম,

মোঃ আব্দুল হান্নান, নাসিরনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া)ঃ নাসিরনগরে অভিনব কৌশলে জায়গা বিক্রি করে গ্রহিতাকে দলিল না দিয়ে প্রতারণা পূর্বক অর্থ আত্মসাতের মামলায় লিটন জেল হাজতে।

ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার সদরে। সদর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি মৃত হাজী আঃ গাফ্ফারের ছেলে মোঃ লিটন মিয়া ২০১৪ সালে গুনিয়াউক ইউনিয়নের চিতনা গ্রামের মৃত লুদন হাজী (কলিমুদ্দিন) এর ছেলে সৌদি প্রবাসী হজ্ব মোয়াল্লিম মোঃ রবিউল আউয়ালের নিকট থেকে নাসিরনগর মাছ বাজারের উত্তর পাশে ৩ শতাংশ বাজার ভিটি ১৫ লক্ষ টাকায় বিক্রি করে। ১৩ লক্ষ টাকা নগদ গ্রহণ গ্রহণ করে।
পরবতর্ীতে রবিউল জমির দলিল চাইলে দেম দিচ্ছি বলে ঘুরাতে থাকে। এক পর্যায়ে দলীয় ক্ষমতার প্রভাব দেখিয়ে জায়গা বিক্রি করে নাই বলে জানিয়ে দেয়। এমনকি উল্টো মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে পাঠায় রবিউলকে।
রবিউল জেলে থাকা কালে তার স্ত্রী সুহেদা বেগম পাওনা টাকা চাইতে লিটনের বাড়ীতে গেলে রবিউলের স্ত্রীকে ঘরে নিয়ে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্ঠা চালায় লিটন ও তার ভাই চাতলপাড় কলেজের প্রভাষক মোঃ মনির হোসেন।
ওই ঘটনায় রবিউলের স্ত্রী সুহেদা বেগম বাদী হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে লিটন ও মনিরকে আসামী করে মামলা দায়ের করে। পরে আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে দুইজনের নামে গ্রেপ্ত্রারী পনোয়ানা জারি করে।
অপরদিকে নিরুপায় হয়ে পাওনা টাকা আদায় করতে না পেরে লিটনের বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল আদালতে মামলা নং সিআর ৩৯৩/১৮ দায়ের করেন রবিউল। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে লিটনের নামে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারি করে। আজ বুধবার উক্ত আদালতে হাজির হয়ে জামিনের প্রার্থনা করিলে বিজ্ঞ বিচারক আয়েশা আক্তার লিটনের জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
স্থানীয় এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায় লিটন এলাকার লোকজনকে পুলিশে, মৎস্য অধিদপ্তরে, প্রাইমারীতে চাকুরীর প্রলোভন দেখিয়ে অর্থ আত্মসাৎ করে আসছে।
এছাড়া ঠিকাদারী ব্যবসার কথা বলে এবং মোটা অংকের লাভের লোভ দেখিয়ে বিভিন্ন লোকজনের কাছ থেকে অর্থ নিয়ে না দেয়া সহ অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে লিটনের বিরুদ্ধে।

Related Articles

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না।

Back to top button