April 20, 2024, 1:05 pm

ছাগলনাইয়ায় মাদক মামলায় আসামী করার প্রতিবাদে দুই ছাত্রলীগ কর্মীর সংবাদ সম্মেলন।

১৯ জুলাই ২০১৯, বিন্দুবাংলা টিভি. কম,
সৈয়দ কামাল,ফেনী থেকে।ফেনীর ছাগলনাইয়ায় হয়রানির উদ্দেশ্যে মাদক প্রাচারকারী হিসেবে বিজিবি’র দায়েরকৃত অভিযোগে দুই ছাত্রলীগ কর্মীকে পলাতক আসামী দেওয়ার প্রতিবাদে ১৮ জুলাই ছাগলনাইয়া পৌর শহরের ফুটজোন নামক একটি চাইনিজ রেস্টুরেন্টয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে,বিজিবি’র দায়েরকৃত অভিযোগে অভিযুক্ত হওয়া ওই দুই ছাত্রলীগ কর্মী।
সংবাদ সম্মেলনে বিজিবি’র দায়েরকৃত অভিযোগে মাদক প্রাচারকারী হিসেবে পলাতক আসামী দেওয়া ওই দুই ছাত্রলীগ কর্মী, ছাগলনাইয়া উপজেলাধীন ৮ নং রাঁধানগর ইউনিয়নস্থ পূর্ব মধুগ্রাম নামক গ্রামের,মোঃজসিম উদ্দিনের পুত্র,মোঃমাসুদ রানা ও একি গ্রামের অজিউল হকের পুত্র,নুরুল আলম তুষার সাংবাদিকদের দেওয়া তাদের লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করেন,গত ১৭ জুলাই রাত আনুমানিক সাড়ে ৯ টার সময় উপজেলাধীন শুভপুর ইউনিয়নের শমসের টিলা নামক স্থানে টহলরত বিজিবি জোয়ানরা এক কেজি গাঁজাসহ এক মাদক প্রাচারকারীকে আটক করেন।পরে উদ্ধারকৃত গাঁজাসহ ওই মাদক প্রাচারকারীকে ছাগলনাইয়া থানায় নিয়ে আসেন বিজিবি’র নায়েব সুবেদার বাদশা মিয়া।এই সময় নায়েব সুবেদার বাদশা মিয়া বাদী হয়ে আটককৃত মাদক প্রাচারকারীর বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা দায়েরের উদ্দেশ্যে থানায় লিখিত একটি অভিযোগ দায়ের করেন,যে অভিযোগটিতে কোন কারণ ছাড়াই ওই মাদক প্রাচারকারীর সাথে পলাতক আসামী হিসেবে আমাদের নাম দিয়েছে বিজিবি।গাঁজাসহ বিজিবি যাকে আটক করেছে তার পরিচয় আদৌ আমাদের কাছে অজানা।যে মাদক প্রাচারকারীকে আমরা ছিনি না জানি না,সেই মাদক প্রাচারকারীর সাথে বিজিবি আমাদেরকে মামলায় জড়িয়ে পলাতক আসামী করাটা সম্পুর্ণ উদ্দেশ্য প্রণোদিত ও হয়রানি মূলক ব্যাতীত অন্য কিছু নয়।তাই আমরা জাতীর বিবেক সাংবাদিক ভাইদের মাধ্যমে,আমাদের বিরুদ্ধে বিজিবি’র দায়েরকৃত উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়রানি মূলক মিথ্যা মামলার তীব্র প্রতিবাব জানাচ্ছি।
বিজিবি’র দায়েরকৃত অভিযোগের ভিত্তিতে মাদক মামলায় পলাতক আসামী হওয়া অভিযুক্ত ওই দুই ছাত্রলীগ কর্মী কি সত্যিই মাদক ব্যবসায় বা মাদক সেবনে জড়িত কি না,সে বিষয়টি জানার জন্য আমরা কয়েকজন সাংবাদিক গোপনে ওই দুই অভিযুক্ত যুবকের এলাকায় গিয়ে স্বস্ব অবস্থানে থেকে তাদের বিষয় একাধীক এলাকাবাসীর সাথে কথা বলেছি।এলাকাবাসীর সাথে কথাবলে রানা ও তুষারের ব্যাপারে আমরা একটা ধারণা পেয়েছি,আর তা হলো এই দুই যুবক আর যাই করুক না কেন তারা যে,মাদক ব্যবসা বা মাদক সেবনের সাথে বিন্দুমাত্র জড়িত নেই সেই বিষয়টি শতভাগ সত্য।এলাকাবাসীর কাছ থেকে তাদের ব্যাপারে একটা বিষয় জানতে পেরেছি,তা হলো এই দুই যুবক ওই এলাকায় সপ্তাহে একদিন বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে যে,বর্ডার হাটটি বসে সেই বর্ডার হাট থেকে বৈধ বা অবৈধ পন্থায় ভারতীয় বিভিন্ন পণ্য প্রাচার করে এনে যে,ব্যবসা সে বিষয় কোন সন্দেহ নেই।
সীমান্তে দায়িত্বরত বিজিবি’র নায়েব সুবেদার বাদশা মিয়া বাদী হয়ে,থানায় দায়েরকৃত অভিযোগে রানা ও তুষারকে মাদক মামলায় পলাতক আসামী দেওয়ার বিষটি বিজিবি’র উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়রানি মূলক উল্লেখ করে,রানা ও তুষার সংবাদ সম্মেলনে বিজিবি’র বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করেছে,সেই অভিযোগের বিষয় ফেনীর জায়লস্কর বিজিবি ৪ ব্যাটালিয়নের পরিচালক লেঃ কর্ণেল নাহিদুজ্জামানের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান,গাঁজাসহ বিজিবি’র হাতে আটককৃত আসামীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদকালীন সে গাঁজা প্রাচারে তার সাথে রানা ও তুষার জড়িত রয়েছে বলে স্বীকার করায় বিজিবি এই দুইজনকে উক্ত মাদক মামলায় দায়েরকৃত অভিযোগে পলাতক আসামী দিয়েছে।তাছাড়া সীমান্তে বিজিবি’র তালিকাভুক্ত কালোবাজারী হিসেবে রানা ও তুষারের নাম রয়েছে বলে ও জানান তিনি।
মাদক মামলায় বিজিবি’র দায়েরকৃত অভিযোগে পলাতক আসামী দেওয়া রানা ও তুষারকে মাদক মামলায় এফআইআর ভুক্ত আসামী করা হয়েছে কি না,সে বিষয় সত্যতা নিশ্চিত করণের লক্ষে ছাগলনাইয়া থানার পরিদর্শক (কদন্ত) সুদ্বীপ রায় পলাশের কাছে জানতে চাইলে,তিনি বাদীর দায়েরকৃত অভিযোগে অভিযুক্ত সকল আসামীকে এফআইআর ভুক্ত আসামী করা হয়েছে বলে সত্যতা নিশ্চিত করেন।


আপনার মতামত লিখুন :

মন্তব্য করুন


ফেসবুকে আমরা