March 28, 2024, 10:28 pm

মাটিরাঙ্গায় ভেজাল মিস্টি ও দই তৈরির কারখানা

২৩ জুন ২০১,, বিন্দুবাংলা টিভি. ক,

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি :

পার্বত্য খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙ্গায় ভেজাল মিষ্টি, দই ও রসমালাই তৈরি কারখানার সন্ধান পাওয়া গেছে। জানা গেছে, ভেজাল খাদ্যসামগ্রী উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানটির অবস্থান মাটিরাঙ্গা পৌরসভার ০৮নং ওয়ার্ড মুসলিমপাড়ার সেলিম রেজার নিজ বাড়ী।

অনুসন্ধানে জানা যায়, কোন প্রকার খাবার উৎপাদনের সরকারি মান নিয়ন্ত্রন সনদ (বিএসটিআই)এর অনুমোদন ছাড়াই অবৈধভাবে গড়ে তোলেছেন সেলিম রেজা নামের জনৈক ব্যক্তি এই প্রতিষ্ঠানটি । সাধারণ মানুষের সরল বিশ্বাসের সুযোগে প্রশাসনের চোখের আড়ালে অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা স্যাঁতস্যাতে পরিবেশে তৈরি করা হচ্ছে নানা রকম মুখরোচক মিষ্টি জাতীয় খাবার।

অনুসন্ধ্যানী প্রতিবেদনের জন্য তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে এই প্রতিবেদককে প্রতিষ্ঠানের প্রধান গেইটে আটকে দেন মালিক পক্ষের লোকজন। কারণ জানতে চাইলে মালিকের অনুমতি নাই বলে জানান তারা।

পরে মালিকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি কারখানায় প্রবেশের অনুমতি দিতে অসীকৃতি জানায়। এরপর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোঃ সোহেল রানা ও এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তির সহযোগিতায় মালিকের সাথে অনুমতি নিয়ে কারখানার ভেতর প্রবেশ করতে-ই দেখা যায় পচাঁ দূর্গন্ধযুক্ত ও মরা মাছি যুক্ত মিষ্টি সাজানো রয়েছে বিভিন্ন পাত্রের মধ্যে। রয়েছে বিভিন্ন পাত্রে খাবারের অনুপযোগী পোড়া তেল, মাছি মিশ্রিত পরিত্যক্ত মিষ্টির ঝোল। তাতে ভিজিয়ে রাখা আছে বাজারে বিপননের অপেক্ষা প্রায় ৫০ কেজিরও বেশী পরিমাণ বিভিন্ন নামের অস্বাস্থ্যকর মিষ্টি।

নামীদামী ব্রান্ডের নামে আর্কষনীয় মোড়ক ব্যবহারের আড়ালে চলছে ভোক্তা সাধারনকে ঠকিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার মহোৎসব। এছাড়া বাজারজাতকৃত পণ্যের মোড়কে দেখা যায়নি পণ্যের খুচরা মূল্য, উৎপাদন ও মেয়াদ উত্তীর্ণ তারিখ। এবিষয়ে প্রতিষ্ঠানের মালিক সেলিম রেজার কাছে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি এরিয়ে যান।

মো: বাবুল মিয়া নামের জনৈক ব্যক্তি (ক্রেতা) এই প্রতিষ্ঠান থেকে মিষ্টি কিনে প্যাকেট খুলতেই দেখতে পান সরবরাহকৃত প্যাকেটের ভেতর দুর্গন্ধ যুক্ত পচাঁ মিষ্টি । তাৎক্ষনিক পচাঁ মিষ্টি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান প্রধানের কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে প্রতিষ্ঠান প্রধান সেলিম রেজা ও তার সহযোগীরা ক্রেতা বাবুল মিয়াকে মারধর করে। পরে ক্রেতা বাদী হয়ে মাটিরাঙ্গা থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।

এ বিষয়ে স্থানীয় কাউন্সিলর মোঃ সোহেল রানা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সেলিম রেজাকে এর আগে একাধিক বার মান নিয়ন্ত্রনের জন্য বলা হলেও তিনি কোন ধরনের ব্যবস্থা নেননি। ভোক্তা সাধারণ প্রতারিত হচ্ছেন এই প্রতিষ্ঠানের কারণে। তিনি এই অস্বাস্থ্যকর কারখানাকে ভোক্তা অধিকার আইনের আওতায় আনার আহবান জানান।
এ দিকে বিষয়টি স্থানীয়দের মাঝে জানাজানি হলে প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে সরকারি পদক্ষেপ গ্রহনের জোর দাবী জানিয়ে তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

 


আপনার মতামত লিখুন :

মন্তব্য করুন


ফেসবুকে আমরা