সারাদেশ

ছাগলনাইয়া বর্ডার হাটে আসা দর্শনার্থীদের পণ্য অনেকটা কমান্ডো স্টাইলে ছিনতাই করে নিচ্ছে বিজিবি।

১৫  মে ২০১৯,
বিন্দুবাংলা টিভি .কম
সৈয়দ কামাল,ফেনী থেকেঃফেনীর ছাগলনাইয়া বর্ডার হাটে আসা ক্রেতা দর্শনার্থীদের হাট থেকে কেনা পণ্য নিয়ম বহির্ভূত ভাবে প্রতিনিয়ত কমান্ডো স্টাইলে ছিনতাই করে নিয়ে যাচ্ছে,নেইম প্লেট বিহীন পোষাক পরা বিজিবি সদস্যরা।১৩ জানুয়ারী ২০১৫ সালে ছাগলনাইয়া উপজেলার ৮ নং রাঁধানগর ইউনিয়নের পূর্ব মধুগ্রাম ও ভারতের শ্রীনগর সীমান্তে এই হাটটি উদ্বোধন হয়।উদ্বোধনের পর থেকেই বাংলাদেশ অংশে বর্ডার হাটটি সম্পুর্ণ তদারকি করে যাচ্ছে ছাগলনাইয়া উপজেলা প্রশাসন ও বিজিবি।প্রতি সপ্তাহের মঙ্গলবারে বসে এই হাট।বর্ডার হাট পরিচালনায় উভয় দেশের নীতিনির্ধারকদের তৈরীকরা নিয়োম নীতি অনুযায়ী হাটটি বাংলাদেশ অংশে সর্বচ্ছ বছর খানিক পরিচালিত হলে ও বর্তমানে এই হাটটি চলছে, সম্পুর্ণ ভাবে বিজিবি’র তৈরীকরা অঘোষিত নিয়মে।উভয় দেশের নীতিনির্ধারকদের তৈরীকরা নিয়োম নীতিতে নির্ধারণ করা হয়েছিল,বর্ডার হাটে আসা একজন দর্শনার্থী হাটথেকে সর্বচ্ছ দুইশত মার্কিন ডলার সম মূল্যের পণ্য কিনে নিয়ে যেতে পারবেন।বর্তমানে ছাগলনাইয়ার এই বর্ডার হাটটি বিজিবি’র সহযোগীতায় কালো বাজারিদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হওয়ায়,এই হাটে আসা কোন ক্রেতা দর্শনার্থী সর্বচ্ছ বাংলাদেশী টাকায় দুই হাজার টাকা সম মূল্যের পণ্য কিনে নিয়ে যেতে পারেনা।এর কারণ হলো দর্শনার্থীদেরকে যদি নিয়োম অনুযায়ী পণ্য কিনে নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয় তাহলে বিজিবি’র সাথে কন্ট্রাক্ট করে যে,সকল কালোবাজারিরা রাতের আঁধারে ওপারথেকে লক্ষ লক্ষ টাকার পণ্য প্রাচার করে নিয়ে আসছে সেগুলি কিভাবে বাজারজাত করবে।
সম্প্রতি ছাগলনাইয়া বর্ডার হাটে দর্শনার্থীদের কাছথেকে বিজিবি’র পণ্য কেড়ে নেওয়া নিয়ে,বিজিবি ও দর্শনার্থীদের মধ্যে সৃষ্ট সংঘর্ষে উভয় পক্ষের বেশ কয়জন আহত হয়।এই ঘটনায় বিজিবি বাদী হয়ে দুইজনের নাম উল্লেখকরে অজ্ঞাত আরো ৪০/৫০ জনকে আসামী দিয়ে ছাগলনাইয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে।যার কারণে বর্তমানে বিজিবি বর্ডার হাটে আসা দর্শনার্থীদের কাছথেকে গত দুই তিন হাট বার মূল গেইটে পণ্য কেড়ে নিচ্ছেন না।দর্শনার্থীরা যখন বর্ডার হাটথেকে পণ্য কিনে বের হয়ে কিছুদূর যান,তখন তাদের কাছথেকে পণ্য কেড়ে নেওয়ার বিকল্প পদ্ধতি ব্যবহার করছে বিজিবি।পদ্ধতিটি হলো মোটরসাইকেল নিয়ে নেইম প্লেটহীন পোষাকে থাকা বিজিবি’র কিছু সদস্য বর্ডার হাট থেকে বের হয়ে আসা ক্রেতা দর্শনার্থীদের হাতথেকে কমান্ডো স্টাইলে ছিনতাই করে নিয়ে যাচ্ছে পণ্য গুলি।
১৪ মে মঙ্গলবার বিকাল বেলার ঘটনা ছাগলনাইয়া বর্ডার হাট থেকে সামান্য কিছু পণ্য ক্রয়করে বের হয়ে আসেন, স্থানীয় দুই ক্রেতা দর্শনার্থী।তারা পণ্যের প্যাকেট গুলি হাতে নিয়ে যখন বর্ডার হাট থেকে আনুমানিক এক কিলোমিটার দূরে মোকামিয়া এলাকায় ছাগলনাইয়া-শুভপুর সড়কে উঠা মাত্রই,হঠাৎ ফেনী-ল-১১-২৩৯৩ নাম্বারের ডিসকভার একটি মোটরসাইকেল যোগে নেইম প্লেটহীন পোষাক পরা তিনজন বিজিবি জোয়ান এসে অনেকটা কমান্ডো স্টাইলে ছিনতাই করে ওই দুইজনের হাতথেকে বর্ডার হাট থেকে কিনে আনা পণ্য গুলি ছিনিয়ে নিল।বিজিবি যে দুইজন দর্শনার্থীর হাতথেকে পণ্য গুলি কেড়েনিল তারা হলেন, ছাগলনাইয়া উপজেলাধীন ৮ নং রাঁধানগর ইউনিয়নের,উত্তর আঁধারমানিক গ্রামের,শংকর কুমার পালের পুত্র,ওমর কুমার পাল ও একই ইউনিয়নের নিজপানুয়া গ্রামের, রবিউল হকের পুত্র,সরোয়ার উদ্দিন সুমন।বিজিবি জোয়ানরা যখন এই দুইজনের কাছথেকে পণ্য গুলি ছিনিয়ে নিচ্ছেলেন,তখন তারা স্থানীয় জনগণের তোপের মুখেপড়ে দ্রুততার সাথে পণ্য গুলি নিয়ে স্থান ত্যাগ করে চলেযায়।জনগণের প্রশ্নহল এরাতো বর্ডার হাট থেকে পণ্য গুলি কিনে বিজিবি’র সামনে দিয়ে,বর্ডার হাটের মূল গেইট দিয়ে বের হয়ে এসেছে।ওদের পণ্য গুলি যদি অবৈধ হত বা নিয়ম বহির্ভুবভাবে নিয়ে আসতো তাহলে তো ওদের পণ্য গুলি আপনাদের বিজিবি ওখানেই কেড়েনিত।আপনারা কি কারণে এদের পণ্য গুলি নিয়ে যাচ্ছেন,জনগণের এমন প্রশ্নের তোপেপড়ে ওই তিন বিজিবি সদস্য দ্রুত স্থান ত্যাগে বদ্যাহয়।অবস্থা দৃষ্টে অনুমান করাযায় সামনের দিন গুলিতে ও যদি বিজিবি সদস্যরা বর্ডার হাটের ক্রেতা দর্শনার্থীদের সাথে এইভাবে অঘোষিত ছিনতাইয়ের মত ঘটনা ঘটায়,তাহলে  গত কয়েকদিন পূর্বে বিজিবি ও জনগণের মধ্যে সংঘর্ষের যে,ঘটনা ঘটেছিল তার পুঃণরায় ঘটতে সময় লাগবে না।

Related Articles

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না।

Back to top button